জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল ২৯ জানুয়ারি (সোমবার) প্রকাশিত হবে। সবগুলো বোর্ডেরই ফল এদিন প্রকাশ হবে বলে জানা গেছে। ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত জেএসসির ফলাফল সন্তোষজনক না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খাতা পূনর্নিরীক্ষণের জন্য আাবেদন করেন।
আমাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ২০ হাজার ৫২১টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছে ১০ হাজার ৫৩১ শিক্ষার্থী।
আবেদনের প্রেক্ষিতে উত্তরপত্র যাচাই-বাছাই করে পুনর্নিরীক্ষণ ফল তৈরি করেছে শিক্ষাবোর্ড।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেএসসি পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণে মোট আবেদনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমা পড়েছে গণিতে। এ বিষয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৪ হাজার ৫৫টি। বাংলা ১ম পত্রে জমা পড়েছে ১ হাজার ২৮৭টি, বাংলা ২য় পত্রে ১ হাজার ২৮৭টি। ইংরেজী ১ম পত্রে জমা পড়েছে ৩ হাজার ৬৭৮টি ও ইংরেজী ২য় পত্রে ৩ হাজার ৬৭৮টি। গণিতে জমা পড়েছে ৪ হাজার ৫৫টি, ভুগোলে ২২২টি, ইসলাম ধর্মে ৭৬৯টি, হিন্দু ধর্মে ১৫৮টি, বৌদ্ধ ধর্মে ১৬, খ্রিষ্টান ধর্মে ২টি। বিজ্ঞানে ৩ হাজার ১১৬টি, কৃষি শিক্ষায় ৮৬৯টি,গ্রাইস্থ বিজ্ঞানে ২৭৮টি এবং আইসিটিতে ২০২টি আবেদন জমা পড়ে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানান, জেএসসির পুনর্নিরীক্ষণ ফল ২৯ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে। গতবছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ০৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীরা পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন করেছে। এবার জেএসসির ১১টি বিষয়ে ২০ হাজার ৫২১টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে যারা আশানুরূপ ফলাফল পায় নি নতুবা অকৃতকার্য হয়েছে, তারাই শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন করেছে। জেএসসির ১১টি বিষয়ে এবার ২০ হাজার ৫২১টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছে ১০ হাজার ৫৩১ জন শিক্ষার্থী। বোর্ড নির্ধারিত যথাযথ প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই করে এ পুনর্নিরীক্ষণ ফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেএসসিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৩১৫ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১ হাজার ২১২টি স্কুলের ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪ জন।
