শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বরগুনার বামনা উপজেলায় আসন্ন জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ফি ১৫০টাকার পরিবর্তে পরীক্ষার্থীদের থেকে ৪০০ টাকা করে আদায় হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, আগামী ১ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিতব্য জেএসসি পরীক্ষায় এবারে বামনা উপজেলার আসমাতুন্নেসা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬টি বিদ্যালয়ের ৫৭৯ জন ও হলতা ডৌয়াতলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ১০টি বিদ্যালয়ের ৮৩২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন।
দুটি কেন্দ্রের মোট ১ হাজার ৪১১ জন জেএসসি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রবেশপত্রের ফি বাবদ ৪০০ টাকা করে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৪০০টাকা এবং উপজেলার বামনা সদর আর রশিদ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ১২ টি মাদ্রাসার ৩১৮ জন জেডিসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ টাকা উত্তোলন করা হবে।
এতে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৭৫০ টাকা এবং জেডিসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৭৯ হাজার ৫০০টাকা সর্বমোট ৪ লাখ ৩২ হাজার ২৫০টাকা প্রবেশপত্রের নামে অতিরিক্ত ফি হাতিয়ে নিচ্ছে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা পরীক্ষা পরিচলানা কমিটি।
বামনা উপজেলা সদরের সারওয়ারজান মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এএসএম হারুন অর রশিদ জানান, পরীক্ষা কমিটির সভায় কোনো আলোচনা না করেই কেন্দ্র সচিব শম্ভু নাথ ভৌমিক প্রবেশপত্রের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ১৫০টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকা ফি ধার্য্য করে সভার পূর্বে লেখা পরীক্ষা বাজেট ও রেজুলেশ খাতায় স্বাক্ষর নেন। আমার বিদ্যালয়ের ২০০ পরীক্ষার্থী বাড়তি ২৫০ টাকা করে দিয়ে অর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আসমাতুন্নেসা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব শম্ভু নাথ ভৌমিক এ প্রতিবেদক কে বলেন, আপনার কাছে আমি কৈফিয়ত দিব না বলে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন।
হলতা ডৌয়াতলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অপর কেন্দ্র সচিব মো. নুরুল হক খান জানান, পরীক্ষা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রত্যেক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে প্রবেশপত্রের ফি নেওয়া হচ্ছে। এই টাকায় পরীক্ষা কেন্দ্রের অন্যান্য খরচ মেটানো হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোডের্র চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হক বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড কেন্দ্র ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। বাড়তি টাকা নেওয়া ভয়ানক অনৈতিক কাজ। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পেলে কেন্দ্র বাতিলসহ সচিবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে বামনা সদর আর রশিদ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মাওলানা মো. ইউনুস জানান, আমাদের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় আমরা মাদ্রাসা বোর্ড নির্ধারিত ২০০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকা করে প্রবেশপত্র ফি আদায় করছি। আদায়কৃত বাড়তি টাকা পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজেই খরচ করা হবে।