ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - দৈনিকশিক্ষা

ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

করোনা মহামারির সময় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।   

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) শিক্ষা পরিসংখ্যান প্রতিবেদন চূড়ান্ত বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। কর্মশালাটি বিকেলে ব্যানবেইস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

সচিব জানান, মাধ্যমিকে পর্যায়ে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ সবাই জানেন। করোনা মহামারিরর কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। তাদের ক্লাস রুমে ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।    

এদিকে ব্যানবেইস মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি। তারা বলছে, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে ব্যানবেইসের নিজস্ব কোনো পর্যালোচনা নেই। এই তথ্য নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কাজ করতে পারে।

ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, মাধ্যমিকে কমে যাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ছাত্রী। এই শিক্ষার্থীরা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ে পড়তেন।

ব্যানবেইসের বার্ষিক খসড়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হাইস্কুলগুলোতে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিলো ৯২ লাখের বেশি, যা ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার। এই শিক্ষার্থীরা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ে পড়ে। মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ছাত্রী। 

অবশ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও স্কুল অ্যান্ড কলেজ অর্থাৎ যেখানে উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক স্তরেও পড়ানো হয়, সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। তবে একই সময়ে কারিগরি, মাদরাসা ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী বেড়েছে।

মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমলেও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। একই সময়ে মাদরাসায় প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বেড়েছে। একইভাবে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমেও শিক্ষার্থী বেড়েছে। 

ব্যানবেইসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চার বছরের ব্যবধানে সরকারের অধীনে থাকা মাদরাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম ধারার মাদরাসা) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ।

সরকার কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি (এর মধ্যে ৫৮৮টি সরকারি) কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ।

চার বছর আগে যা ছিলো ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিলো ২ হাজার ৩০৯টি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় সমতা এলেও কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। কারিগরিতে যতো শিক্ষার্থী পড়ে, তার মধ্যে ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।

ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যা চার বছর আগে ছিলো ২৬ হাজারের বেশি।

শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী তীব্র সেশনজটের মহাশঙ্কা - dainik shiksha তীব্র সেশনজটের মহাশঙ্কা কলেজে ভর্তি : অতি চালাকদের শিক্ষাবোর্ডে ধরনা! - dainik shiksha কলেজে ভর্তি : অতি চালাকদের শিক্ষাবোর্ডে ধরনা! ক্যাম্পাস খুললে শিক্ষকরা কর্মসূচি চালু রাখবেন - dainik shiksha ক্যাম্পাস খুললে শিক্ষকরা কর্মসূচি চালু রাখবেন প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোটা, যা জানালেন সচিব - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোটা, যা জানালেন সচিব কলেজে ভর্তির সময় বাড়লো, ক্লাস শুরু ৬ আগস্ট - dainik shiksha কলেজে ভর্তির সময় বাড়লো, ক্লাস শুরু ৬ আগস্ট স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর - dainik shiksha স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.005126953125