বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ২১৭ নম্বর খাউলিয়া নিশানবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান চলছে। খেলার মাঠটি পরিনত হয়েছে ডোবায়। এ কারণে একদিকে শিখন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে অপরদিকে মাঠ না থাকায় শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন খেলাধুলা থেকে।
সরজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টির ৮৫জন শিক্ষার্থীর জন্য ৪ কক্ষের বিদ্যালয় ভবনটি যেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। প্রথম শ্রেণি ও ৫ম শ্রেণির কক্ষ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভেঙে যাওয়া ছাদের রড বেরিয়ে গেছে। প্রতিটি কক্ষ এখন ঝুঁকিপূর্ণ। আর ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা। গত সোম ও মঙ্গলবার বিদ্যালয় চলার সময় ২টি ক্লাসরুমের পলেস্তারা হঠাৎ খসে পড়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের বাইরের অবকাঠামোর পলেস্তারা খসে পড়াও দেখা যাচ্ছে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয় আসা বন্ধ করে দিয়েছেন কেউ কেউ। এছাড়া এ বিদ্যালয়ে আসতে নিশনবাড়িয়া খালের ওপর একটি ঝুঁকিপূর্ণ পুল রয়েছে। এ পুলটির কারণেও বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে।
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রমজান ফরাজী, সিয়াম শিকারি, মনি আক্তার, জামিলা আক্তারসহ একাধিক শিক্ষার্থী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ক্লাস চলার সময় হঠাৎ ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ায় তারা আতঙ্কে আছেন। বিদ্যালয়টি পুনঃনির্মাণের পাশাপাশি আপাতত বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন তারা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মল চন্দ্র হালদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিদ্যালয়ের দু’টি কক্ষ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। যার কারণে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ওই বিদ্যালয়ের সমস্যা সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। যাতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে কোনো রকম সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপজেলার ৫২টি বিদ্যালয়ের মাটি পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।