নওগাঁর বদলগাছীতে বঙ্গবন্ধু সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রদর্শক মো. আসব উদ্দৌলা এবং একই বিভাগের অফিস সহায়কের দায়িত্ব পালনকারী মো. আলম মন্ডলের বিরুদ্ধে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা নিয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য তাদের কাছ থেকে ৬০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে গত সালের পুরাতন খাতায় প্রদর্শক মো. আসব উদ্দৌলা স্বাক্ষর দিয়ে নম্বর দিয়ে দিচ্ছেন। এসব কাজে সাহায্য করেছেন অস্থায়ীভাবে অফিস সহায়কের দায়িত্ব পালন করা আলম মন্ডল।
এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য অফিস সহায়ক আলম মন্ডলের মুঠোফোনে টেলিফোন করে শিক্ষার্থীর পরিচয় দিয়ে স্থানীয় একজন গণমাধ্যম কর্মী একটি ব্যবহারিক খাতা চায়। তিনি তার কাছে টাকার বিনিময়ে স্বাক্ষর করা খাতা দিতে রাজি হন এবং ৬০০ টাকা দাবি করেন। টাকা কিছু কমাতে বলা হলে অফিস সহায়ক বলেন, সব খাতা দেওয়া শেষ। স্যার (প্রদর্শক আসব উদ্দৌলা) ৬০০ টাকার নিচে দিচ্ছেন না। তবে অনেক জোরাজুরিতে তিনি ৫০০ টাকায় খাতা দিতে রাজি হন এবং কলেজের আসতে বলেন।
পরবর্তীতে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রদর্শক আসব উদ্দৌলা ও অফিস সহায়ক আলম মন্ডলের সাথে কথা বললে তারা দুজনেই এ খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. সরওয়ারে জাহান সাংবাদিকদের বলেন, আমি বিভাগীয় প্রধানের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।