ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এবং তার আশেপাশে দোকান রয়েছে প্রায় ২২টি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব দোকানের অনুমোদন না থাকলেও দোকান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রক্টরিয়াল কর্মকর্তা। প্রক্টর অফিসের সেকশন অফিসার মো. রেজাউল করিম এসব দোকানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকানগুলোকে বেশ কয়েকবার উঠিয়ে দেওয়া হলেও তার সহায়তায় কয়েক দিন পর আগের জায়গায় আবার আসন গাড়ে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত তিন জন দোকানদার জানান, দোকান বসানোর সময়ে তাদের নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকা নেন মো. রেজাউল করিম। তিনি দোকানদারদের নিকট ‘রেজা স্যার’ হিসেবে পরিচিত। পরবর্তী প্রতি মাসে এসব দোকান থেকে ৫ থেকে ৬ হাজার করে টাকা নেন তিনি। টাকা না দিলে উঠিয়ে দেন বলেও জানান তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার রেজাউল করিমকে দোকানের মালিক জানিয়ে বলেন, ‘এসব দোকানের মালিক প্রক্টর অফিসের ‘রেজা স্যার।’ স্যার এখান থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ টাকা করে নেন। তবে তিনি প্রতি মাসে একবারেই টাকা নেন। তখন একসাথে ৫ বা ৬ হাজার টাকা দিয়ে দেই।’
তবে দোকান বসান এবং তা থেকে প্রতি মাসে ভাড়া নেয়ার বিষয়টিকে অস্বীকার করেন সেকশান অফিসার মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি কখনো এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।