টিকে আছে শত বছরের মাটির বিদ্যালয়! - Dainikshiksha

টিকে আছে শত বছরের মাটির বিদ্যালয়!

নাটোর প্রতিনিধি |

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় অবস্থিত চৌগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ। যেটি মাটি দিয়ে তৈরি। যার বর্তমান বয়স এক'শ ছয় বছর। নাটোর শহর থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে নাটোর বগুড়া মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত এই বিদ্যালয়টি। 

 

বিদ্যালয়টি একেবারে ভগ্নপ্রায়। শত বছরের বেশি সময় আগে মাটির এই বিদ্যালয়টি তৈরি করেছিলেন স্থানীয় জমিদার রমণীকান্ত রায় বাহাদুর। যিনি চলনবিল অঞ্চলে শিক্ষাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্যেই বিদ্যালয়টি স্থাপন করেছিলেন। জানা যায়, ইংরেজি স্কুল স্থাপন করতে চাপ সৃষ্টি করা সত্ত্বেও খোদ ব্রিটিশ সরকারের শাসন আমলে অত্র এলাকার প্রজাদের সুবিধার জন্য মাতৃভাষা বাংলায় স্কুল স্থাপন করেন। বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে। আবার কেউ কেউ বলেন, ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে মাটির দেয়াল দিয়ে ভবন তৈরি করা হয়। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন কলকাতা বোর্ড থেকে এটি অনুমোদন পায়। ছাত্রদের থাকা ও লেখাপড়ার সুবিধার জন্য আবাসিক ভবনও তৈরি করা হয়। টিনের চালা দিয়ে তৈরি এই বিদ্যালয়ে কোনো জানলা নেই। ঘরের দুই পাশেই দরজা ও দীর্ঘ বারান্দা। মাটির দেয়ালে চুন লাগানো হয়েছিল। সেগুলো খসে পড়ে নানা রকম নকশার মতো দেখতে হয়েছে। মোট ৪৮টি দরজা। মাথার ওপর মাটির তৈরি চাতাল, যা ঘরগুলোকে ঠাণ্ডা রাখে। এখানে যারা লেখাপড়া করতো তাদের শিক্ষার অধিকাংশ ব্যয় বহন করতেন জমিদার রমণীকান্ত রায়। এ ছাড়া আশপাশের গ্রামগুলোতে বিত্তবানরা লজিং রেখে তৈরি করে দিতেন উচ্চশিক্ষার পথ।

চলনবিলের সর্বত্র এখন উন্নয়নের ছোঁয়া। চৌগ্রামও ব্যতিক্রম নয়। এই গ্রামেই রয়েছে মহাসড়কের পাশে বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। তৈরি হয়েছে নতুন দালানকোঠা। এখন বিদ্যালয়টির মাটির ভবনের পাশে তৈরি হয়েছে দ্বিতল পাকা ভবন। তবে শুধু পাকা ভবনেই ক্লাস হয় না, মাটির ভবনেও ছাত্ররা ক্লাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। মাটির ভবনে ক্লাস চলছে। দশম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতি খাতুন বলেন, 'আমরা মনে করি এটি আমাদের ঐতিহ্য।' দশম শ্রেণির আরেক ছাত্র মিজানুর রহমান বলেন, শতবর্ষী এই স্কুলের ছাত্র হিসেবে নিজেদের ভেতরে এক ধরনের গর্ব অনুভব হয়।

স্কুলটির বর্তমান সভাপতি, আলতাফ হোসেন জিন্নাহ্ জানান, স্কুলটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থী সংখ্যার তুলনায় অবকাঠামোর অভাব রয়েছে যাতে সুষ্ঠু পাঠদান ব্যাহত হয়। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মির্জা হোসেন বলেন, এই স্কুল থেকেই হাজার হাজার ছেলেমেয়ে শিক্ষা লাভ করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই সরকারের উচ্চ পদে রয়েছেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে ১০৬ বছরেও স্কুলটি জাতীয়করণ হয়নি। স্কুলটিকে সম্প্রতি কলেজে উন্নীত করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে সরকারি অনুমোদন না পাওয়ায় সেটাও থেমে আছে।

স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের ঢাকাসহ ১৩ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ - dainik shiksha ঢাকাসহ ১৩ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত - dainik shiksha টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0075860023498535