ভারতে হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ ছেকাতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। মারাত্মক ছোঁয়াচে এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচে নিজেদের ঘরবন্দি করেছেন আপামর ভারতবাসী।
লকডাউনের প্রভাব পড়েছে লাখ লাখ দরিদ্র ও অভিবাসী শ্রমিক যারা শহরগুলিতে কাজ করতেন তাদের জীবিকার ওপর। অনেকে চাকরি হারিয়ে নিজ গ্রামে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে স্টেশনগুলিতে তাদের ভিড় বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এসব শ্রমজীবী মানুষ অনিচ্ছাকৃতভাবে সারা দেশে ভাইরাস ছড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে মধ্য প্রদেশে নিজ গ্রামে ফিরতে গিয়ে ২৪০ কিলোমিটারেও বেশি পথ হেটে পাড়ি দিয়ে অবশেষে রাস্তায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন একজন শ্রমিক।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা রাজ্যগুলিকে ত্রাণ শিবিরের পাশাপাশি অভিবাসীদের খাবার ও আশ্রয় দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতে বিপুল সংখ্যক মানুষের করোনা চিকিৎসা দিতে ট্রেনের বগিতে তৈরি হচ্ছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। দেশটির রেল মন্ত্রণালয় বলেছে, অন্তত ৩০টি ট্রেনের বগিতে তারা আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করছে।
চায়না সংবাদ মাধ্যম সিজিটিএন জানায়, আইসোলেশন ইউনিটের জন্য তারা নন এসি ট্রেন ব্যবহার করছে। এ কামরাগুলোতে ১০টি করে কেবিন আছে। প্রত্যেক কেবিনের সঙ্গে রয়েছে একটি করে বার্থ। প্রতিটি কামরায় একাধিক শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি কেবিনে এক জন করে রোগী থাকবেন।
রেল সূত্রে এএনআই জানায়, চিকিৎসকরা যাতে নির্বিঘ্নে সেবা দিতে পারেন সেজন্য বগির ভেতরে অবকাঠামোগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিটি বার্থ ভারী পর্দা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
ভারতে করোনা মহামারিতে চলছে ২১ দিনের লকডাউন, বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ট্রেন ও যাত্রীবাহী পরিবহন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮৭ জন, মারা গেছেন ২৫ জন।