নবগঠিত ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ডিজিটালে রূপান্তর হচ্ছে। উচ্চ মাত্রার ওয়াই-ফাই চালু করা হয়েছে বোর্ড অফিসে। শুরু থেকেই ই-জিপি টেন্ডার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বোর্ডের অফিস ক্লোজ সার্কিট ক্যামরার আওতায় আনা হয়েছে। দ্রুত সেবা দেয়ার জন্য ই-ফাইলিং বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে। অনলাইন শিক্ষা প্রোফাইল কার্যক্রমের উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এসব তথ্য জানান।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের জেএসসি ২০১৯ ও এসএসসি ২০২০ কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। বোর্ডকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে গত ৮ মাস ধরে ১৭৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাজ চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামালসহ ১৪ জন কর্মকর্তা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম ও কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানাভাব ও জনবলের তীব্র সংকটের কারণে অমানসিক কষ্ট করতে হচ্ছে তাদেরকে। তবু কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পিছ পা হচ্ছেন না শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারাও। অতি জরুরি ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ ও স্থানাভাব দূর করা প্রয়োজন।
মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ২৮ আগস্ট ময়মনসিংহ শিক্ষা গঠনের প্রজ্ঞাপন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে এই শিক্ষা বোর্ড ৯ম বোর্ড। সকল শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ১১তম শিক্ষা বোর্ড।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করার পর থেকে বোর্ডের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় (টিটিসি) প্রমোট ভবনের তৃতীয় তলায় বোর্ডের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। জায়গার অভাবে বর্তমানে শহরের কাঠগোলা এলাকায় আরও একটি ৩ তলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চলছে। দুটি ভাড়া বাড়িতে চলছে বোর্ডের কার্যক্রম। শিক্ষা বোর্ডকে দ্রুত কার্যকরী করার জন্য নবম শ্রেণির একাডেমিক রেজিস্ট্রেশন ২০১৮ কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করার জন্য কৃষি বিশ্বদ্যিালয়ের আইসিটি বিভাগের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। বোর্ডের চেয়ারম্যান এককভাবে ২০১৮-২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বোর্ডের বাজেট তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন।
শুরুতেই ঢাকা বোর্ড থেকে ২ জন কর্মচারী এই বোর্ডে যোগ দেন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ জন কর্মকর্তা যোগদান করেন। এই চেয়ারম্যানসহ মোট ১৪ জন কর্মকর্তা দিয়ে বোর্ডের কার্যক্রম শুরু হয়।
বোর্ডের চেয়ারম্যান গাজী হাসান কামাল বলেন, বোর্ডের ৫টি শাখা রয়েছে এর মধ্যে ১. প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখা। এই শাখার প্রধান সচিব ও একজন উপ-সচিব রয়েছে। ২. পরীক্ষা শাখা, এখানে প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ১জন ও উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ২জন এবং সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ১ জন রয়েছে। ৩. হিসাব শাখা, উপ-পরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) ১ জন ও কর্মচারী ১ জন। ৪. কলেজ শাখা, পরিদর্শক ১ জন ও উপ-পরিদর্শক ১ জন। ৫. বিদ্যালয় শাখা, পরিদর্শক ১ জন ও উপ-পরিদর্শক ১ জন।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড রকেট সার্ভিসের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। মার্চ ২০১৯ হতে পূর্বের সেবা গ্রহীতাদের চাহিদার কথা চিন্তা করে সোনালী সেবা চালু করার পর রেকর্ড পরিমাণ সেবা দেয়া সম্ভব হয়। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি, নবায়ন কমিটি অনুমোদন, বিষয় খোলা এবং সংশ্লিষ্ট নিয়মিত দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়। পাশাপাশি বোর্ডের অধীনে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরির্দশন কার্যক্রম চলতে থাকে। ইতোমধ্যে বোর্ডের মনোগ্রাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।