মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচজনকে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে সদ্যপ্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এটাই ডিজিটাল আইনে প্রথম মামলা।’
বুধবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডা থেকে তাদের আটকের পর পল্টন থানায় তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার দুই দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
মোল্যা নজরুল বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে আরও তথ্য বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন কাওসার গাজী, সোহেল মিয়া, তরিকুল ইসলাম শোভন, রুবাইয়াত তানভির (আদিত্য) ও মাসুদুর রহমান ইমন।
সিআইডি কর্মকর্তা মোল্যা নজরুল বলেন, ‘তারা ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রশ্ন একশভাগ কমনের নিশ্চয়তা দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছিল।’
গত ৫ অক্টোবর মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তারা এই তৎপরতা চালায় বলে জানান তিনি। তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
সিআইডি বলেছে, এই পাঁচজন গত বছরের প্রশ্ন এবং বাজারে থাকা বিভিন্ন বই থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে নিজের মতো করে প্রশ্নপত্র বানিয়ে তা বিক্রি করে।
আসামিরা আগের বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু এবার প্রশাসনের তৎপরতায় তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় অন্য পথ বেছে নেয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা বিকাশের একজন এজেন্ট রয়েছেন। অন্যরা শিক্ষার্থী।