মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার চর্চা চালু করেছে রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এর ফলও দারুণ ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল।
সম্প্রতি দৈনিক আমাদের বার্তাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নিতে। ডিজিটাল ক্লাস প্রচলনে প্রথমে আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করি। যেহেতু লেকচার শুনে বা বই পড়ে শিক্ষার্থীরা সব সময় সব কিছু নাও বুঝতে পারে, তাই ডিজিটাল পদ্ধতি প্রচলন করি।
মোস্তফা কামাল বলেন, প্রজেক্টরের মাধ্যমে জটিল বিষয়গুলো চোখের সামনে তুলে ধরে ধরা যায়। এতে এই শিখনফল দীর্ঘস্থায়ী হয়। এভাবে পাঠদানের কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা এসএসসি বা যে কোনো পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হচ্ছে। লেক সার্কাস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার প্রায় শতভাগ। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পাচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক বলেন, আমাদের স্কুল যে শুধু লেখাপড়ায় এগিয়ে যাচ্ছে তা নয়, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, খেলাধুলাতেও আমাদের শিক্ষার্থীরা সফলতা পাচ্ছে। গত শীতকালীন খেলাধুলায় আমাদের একজন শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে খেলেছে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তিনি আমাদের সেই খেলোয়াড়কে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, এ আমার স্কুলের শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, নিয়মিত কর্মসূচির বাইরেও আমরা বিভিন্ন প্রজেক্টের আওতায় বা নিজস্ব উদ্যোগে বেশকিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত করি। আমাদের স্কুলে মানসম্মত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা কাবাডি খেলে, ফেডারেশনে অনুশীলন করে।
মোস্তফা কামাল আরও বলেন, শুধু শিক্ষার্থী নয়, আমরা শিক্ষক কেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করি। আমাদের যেসব শিক্ষক রিটায়ারমেন্টে গেছেন, তাদেরকে কিন্তু কেউ মনে রাখে না। আমি চেষ্টা করছি, তাদের মনে রাখার। আমরা ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অবসরপ্রাপ্ত দুজন শিক্ষককে সম্মাননা দিয়েছি। তাদের সঙ্গে আমরা সারাদিন কাটিয়েছি, গল্প করেছি। এর মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর মা, আমাদের সহকর্মী ছিলেন, মিসেস রহিমা ওয়াদুদ, তাকে আমরা সম্মানিত করেছি। সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ স্যারকে সম্মানিত করেছি। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে তিনজন রিটায়ারড শিক্ষককে সম্মাননা জানানোর পরিকল্পনা আছে আমাদের।