ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিস্তর গবেষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদীভাবে ডেঙ্গু নির্মূল করতে দেশের গবেষক, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন এজেন্সিগুলোর সাথে কাজ করতে হবে। প্রত্যেকের নিজ নিজ আঙ্গিনা ও আবাসস্থল পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিতে হবে। এতে করে স্বল্পসময়ের জন্য হলেও ডেঙ্গু থেকে আমরা মুক্তি পাবো। আমাদের শিক্ষা গবেষণায় যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা কাজে লাগিয়ে এডিস মশা নিধনে কাজ করতে হবে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনা সৃষ্টি ও মশক নিধন কর্মসূচি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, আলোচনা-সমালোচনা আর আনুষ্ঠানিকতায় নিজেকে আবদ্ধ না রেখে আসুন আমরা নিজেরাই সচেতন হই। এ মুহূর্ত থেকেই নিজ নিজ পরিবারের দায়িত্ব নেই। এতে করে শুধু ডেঙ্গু নয় সব নাগরিক সমস্যা আর সংকটের সমাধান হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেমনভাবে কাঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে, ঠিক একইভাবে সবার সহযোগিতায় ডেঙ্গুর প্রকোপও নির্মূল করা সম্ভব হবে। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে ইতোমধ্যে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া। এ ছাড়াও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ রুহুল মোমেন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের কনসালটেন্ট ড. মিজানুর রহমান কল্লোল প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, মশা নিধনে নতুন যে ঔষধ আনা হবে তাতে মশা মরবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। আমার মতে মশা দমনে একমাত্র উপায় হচ্ছে আমাদের সচেতনতা। আমরা নিজ নিজ যায়গা থেকে সচেতন হলে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমরা যে কোনো ধরনের সহায়তা করার চেষ্টা করবো।
এ ছাড়া ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি ভাষা শহীদ রফিক ভবন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।