সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা রাখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষকের ছয় লাখ ৭০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিদেশে অবস্থানকালে অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকীর হিসাব নম্বর থেকে এই টাকা খোয়া গেছে।
সাহাদাত হোসেন জানান, গত ২০ মার্চ দিবাগত রাতে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন তিনি। পরে ১২ মে দেশে ফিরে আসেন। তিনি বিদেশ যাওয়ার সময় তার হিসাবে ছয় লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ছিল। এর মধ্যে এক মাসের বেতন ৩৯ হাজার টাকা যোগ হওয়ার কথা। যা নিয়ে মোট সাত লাখ ৯ হাজার টাকা থাকার কথা। কিন্তু বুধবার সোনালী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শাখায় তার হিসাবের খোঁজ নিতে গিয়ে এ ঘটনা জানতে পারেন। তার হিসাব নম্বরটি টিএসসি’র শাখায় খোলা হয়েছিল।
সাহাদাত হোসেনের কাছে থাকা ব্যাংক স্টেটমেন্টে দেখা যায়, চার দফায় দুটি শাখা থেকে মোট ছয় লাখ ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২০ মার্চ চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ শাখা থেকে দুই লাখ, ২৯ মার্চ ঢাকার সদরঘাট কর্পোরেট শাখা থেকে দুই লাখ, ২ এপ্রিল একই শাখা থেকে এক লাখ ৮০ হাজার এবং ৯ এপ্রিল একই শাখা থেকে ৯০ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে।
ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সূত্র জানায়, ‘সোনালী ব্যাংকের কোনো হিসাবধারী যে শাখায় হিসাব খুলবেন শুধুমাত্র সেই শাখা থেকেই তিনি চেক সংগ্রহ করতে পারবেন। সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকীর হিসাব নম্বর থেকে চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। হিসাবধারী শিক্ষকের অভিযোগের পর তার চেক বই দেখতে চাইলে তিনি তা দেখান। ব্যাংকের এই শাখার কর্তৃপক্ষ এই শিক্ষকের চেক বইটি আসল বলে চিহ্নিত করেন।
এক পর্যায়ে জনতা ব্যাংকের টিএসসি শাখা প্রধান ওই শিক্ষকের চেক বইটি তার কাছে জমা দেওয়ার কথা বললে ভুক্তভোগী শিক্ষক রাজী হননি। এ বিষয়ে এ শাখার প্রধান উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. নুরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সাহাদাত হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে তার চেক বইটি যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে এটি আমাদের এই শাখা থেকেই দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এ ঘটনা ঘটলো তা খুঁজে বের করতে তদন্ত করা হচ্ছে।’