ঢাবি শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন - দৈনিকশিক্ষা

ঢাবি শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

গাজীপুর প্রতিনিধি |

গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার পানিশাইল এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আবাসন প্রকল্পে অধ্যাপক সাঈদা গাফ্ফার খুন হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে প্রকল্পের নিরাপত্তা নিয়ে। ৮৫ একরের বিশাল আয়তনের আবাসন প্রকল্পের জন্য নিরাপত্তা প্রহরী আছেন মাত্র ৯ জন। তিন পালায় (শিফটে) মাত্র তিনজন করে দায়িত্ব পালন করেন। এ সুযোগে অপরাধী, মাদকসেবীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে প্রকল্পটি।

সাঈদা গাফ্ফারের (৭১) ছেলে ব্যাংকার ইফখার বিন জহির (৪৭)  বলেন, ‘প্রকল্পে ৬২৮টির মতো প্লট রয়েছে। অথচ সে তুলনায় নিরাপত্তাকর্মী কম। প্রকল্পের দায়িত্বশীলদেরও গাফিলতি রয়েছে। তাঁদের অব্যবস্থাপনার কারণেই মাকে হারালাম।

’প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আবাসন প্রকল্পের নিরাপত্তায় কোনো জোরদার ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন জায়গায় সীমানাপ্রাচীর ভাঙা। নেই কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা বা সড়কবাতি।

জানা গেছে, ১৯৯০ সালে ঢাকার আশুলিয়ার বিকেএসপির বিপরীত দিকে কাশিমপুরের পানিশাইল এলাকায় শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আবাসন প্রকল্প। প্রকল্পে ৬২৮টি প্লট থাকলেও ৩১ বছরে বাড়ি হয়েছে মাত্র পাঁচটি। প্লটগুলোতে নানা গাছ লাগানো। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় পুরো এলাকা ঝোপ-জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এ মাসের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান আবাসন প্রকল্পের একতলা রেস্টহাউস ভবনের উদ্বোধন করেন। এর পাশেই ২৮০ নম্বর প্লটটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাঈদার। তিন মাস আগে তিনি সেখানে বাংলোবাড়ি নির্মাণ শুরু করেন। কাজ ছিল শেষের পথে। আগামী ২৩ জানুয়ারি বাড়িতে ওঠার কথা ছিল তাঁর। এর ১২ দিন আগে ১১ জানুয়ারি প্রকল্পের ভেতরেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। ১৩ জানুয়ারি প্রকল্পের ঝোপ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আনারুল ইসলাম (২৫) অধ্যাপক সাঈদার বাড়ির রাজমিস্ত্রি।

সাঈদা গাফ্ফার নিখোঁজের দিন (১১ জানুয়ারি) প্রকল্পের মূল ফটকে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সিকিউরিটি ইনচার্জ জয়নাল আবেদিন। তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক সাঈদা ম্যাডাম কখনো মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেন না। তিনি পশ্চিম পাশের ১ নম্বর গেট ব্যবহার করতেন। ওই গেট সব সময় বন্ধ থাকত। শুধু ম্যাডামের কাছে একটি চাবি ছিল, যা দিয়ে তিনি গেট খুলে আসা-যাওয়া করতেন। সব সময় গাড়িতে করেই তিনি আসতেন। বেশির ভাগ সময় সঙ্গে থাকতেন তাঁকে দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মধ্যবয়সী এক নারী আর তাঁর পোষা কুকুর। কিন্তু ঘটনার দিন তিনি গাড়ি রেখে হেঁটে একাই আসেন। ’

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, অধ্যাপক সাঈদার মৃত্যু তাঁদের অনেক শিক্ষা দিয়েছে। এখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থায় ঘাটতি রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় মাত্র চারটি পরিবার থাকে। তাদের বাড়িতেই শুধু বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে। শিগগিরই পুরো প্রকল্প এলাকায় সড়কবাতি ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নিরাপত্তাবেষ্টনীগুলোও সংস্কার করা হবে। এ জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি সভা ডাকা হয়েছে।

সাঈদা গাফ্ফারের ভাড়াবাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন মৃধা বলেন, অধ্যাপক সাঈদা ৮-৯ মাস আগে তাঁর বাড়ি ভাড়া নেন। তিনি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। মাঝেমধ্যে ছেলে ও ছেলের স্ত্রী আসতেন। বৃদ্ধ বয়সেও তিনি ছিলেন আধুনিক মনের এবং অনেক সাহসী।

সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ - dainik shiksha শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047299861907959