শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাদের খুশি হওয়া উচিত। আপনারা ভুল সিদ্ধান্ত নেননি তেজগাঁও কলেজ একটি উপযুক্ত বিদ্যাপীঠ, যেখানে আপনারা ভালোভাবে মানুষ হতে পারবেন। এর নিশ্চয়তা আমরা আপনাদেরকে দেবো।
গতকাল মঙ্গলবার কলেজের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষের ফিন্যান্স ব্যাংকিং এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা অনেক সৌভাগ্যবান যে, আমাদের এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম কমপক্ষে ছয়টি ভাগে ভাগ করে করতে হচ্ছে এই কারণে, যে বসতে দিতে পারবো না এটা একটা জনসভায় পরিণত হবে।
তিনি জানান, কলেজটির ২৮টি ডিপার্টমেন্টের মধ্যে চারটি প্রফেশনাল। এগুলো হলো-বিবিএ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, থিয়েটার এবং ট্যুরিজম। এই চারটি ডিপার্টমেন্টের ভর্তি প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।
আর ২৪টি ডিপার্টমেন্টে আমাদের প্রথম ও দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপে প্রায় ২ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী এই কলেজে ভর্তি হয়েছে যা বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে যেকোনো কলেজের সংখ্যায় দ্বিগুণেরও বেশি। ২৪টি ডিপার্টমেন্টের ২ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে আরো তৃতীয় রিলিস সিলিপের মাধ্যমে ভর্তি হবে, যোগ করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অধ্যক্ষ বলেন, এই পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। আপনারা যদি মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই তেজগাঁও কলেজে পড়ে আমি কী করবো। তাহলে এটা আপনার ব্যক্তিগত হতাশা কিন্তু এই কলেজ থেকে পড়ে বাংলাদেশের প্রতিটি চাকরিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা চান্স পেয়েছেন।
প্রফেসর ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, আপনারা কলেজের শিক্ষার্থী। এখন আপনারা কোন দিকে যাবেন সেটি নির্ভর করবে আপনাদের ওপর। নিশ্চয়ই আপনাদের বাবা-মায়ের কান্না হতে চান না। কখনো সফলতা এমনি এমনি আসে না। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
আজকে এই তেজগাঁও কলেজের থেকে কোন সাবজেক্টে পড়ছেন এটা বড় কথা নয়। আপনারা প্রত্যেকে স্পোকেন ইংলিশ-এর রেজিস্ট্রেশন করে নেবেন, এটা কিন্তু এক্সট্রা কারিকুলার। ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবে যে ক্লাস হয়, শুরু থেকে সেই ক্লাসে ভর্তি হয়ে ইংরেজির দুর্বলতা কাটানোর চেষ্টা করবেন।
তিনি বলেন, আপনাদের এই কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট-এর অধীনে প্রোগ্রামিং ক্লাস আইসিটিতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি হয়। বাংলাদেশের কোনো কলেজ নেই যে, শিক্ষার্থীদেরকে বিনা টাকায় এই প্রোগ্রামের আওতায় নিয়ে এসে ওই শিক্ষার্থীদেরকে আইসিটিতে সমৃদ্ধ করে।
আপনারা তো আমাকে পরিচ্ছন্ন থাকবেন চিন্তা মেধায় মননে। আমি আপনাদেরকে একটু উপদেশ দেবো, প্রতিদিন আপনারা আয়নাতে পাঁচবার নিজেদের চেহারা দেখবেন।
নিজের চেহারা দেখবেন না আপনি দেখবেন আপনাদের অস্তিত্বকে, আপনি কে? আপনার নিজেকে চিনতে হবে।
আপনি আপনার বাবা-মায়ের সন্তান আপনার এখন আত্মপরিচয় হয়েছে। শিক্ষার্থীকে বলা হয় ইন্ট্রোডিউজ ইউরসেল আপনি তখন কীভাবে বলবেন এই মুহূর্তে থেকে আপনি আপনার পরিচয় দেবেন আমি অমুক, আমি তেজগাঁও কলেজের ফিন্যান্সের স্টুডেন্ট।
শিক্ষকদের বলবো, আপনারা আরো যত্নশীল হবেন শিক্ষার্থীদেরকে পড়ানো এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বোঝানোর ক্ষেত্রে।