দরকার শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন - Dainikshiksha

দরকার শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন

আহমদ রফিক |

আমরা বলে থাকি, আলোকিত চরিত্রের সমাজ চাই, আলোকিত চিত্তের মানুষ চাই ইত্যাদি। কিন্তু লেখায়ই সব শেষ। প্রকৃতপক্ষে সংশ্লিষ্ট ওই দুই পথের কোনো দিকেই আমাদের সমাজ বা রাষ্ট্রযন্ত্র চালিত নয়, তৎপর নয়। তাদের চলা গতানুগতিক পথের ধারায়। এ কারণে সময় এগোচ্ছে, উন্নত বিশ্ব এগিয়ে চলেছে, রাজনৈতিক অঙ্গনে যা-ই ঘটুক না কেন, বিজ্ঞান-প্রযুক্তির নিত্যনতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবন ঘটে চলেছে এবং তা পশ্চিমা বিশ্বে?

আর আমরা? স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা সমাজ-আকাঙ্ক্ষিত অর্জনের পর আমাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল শ্রেণিগত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বিত্তবৈভবের প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা, যা নেশার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির একনিষ্ঠ, গভীর ও অুসন্ধান উদ্ভাবনচর্চা পিছিয়ে পড়ল। চার দশকেরও বেশি সময় পার হওয়া সত্ত্বেও আমাদের হুঁশ নেই, আমরা মগ্ন তথাকথিত উল্লিখিত সংকীর্ণ পূর্বধারা তৈরিতে, ডিগ্রি সেখানে মূল লক্ষ্য।

এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকের পাসের হার, মেধাপরিচায়ক জিপিএর হারের অধোগতি নিয়ে যে পরিমাণ হাহাকার উচ্চারিত হয়েছে, সেই সঙ্গে লেখালেখিও প্রকাশ পেয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ওপরের কথাগুলো বলা। এ ক্ষেত্রে ঐতিহ্য আমাদের সম্মুখযাত্রায় উদ্বুদ্ধ করেনি। ফাঁপা বিদ্যার সংখ্যাগত গুরুত্ব আমাদের সবাইকে, সব মহলকে উৎসাহিত করেছে অধিক মাত্রায়। একটি মননশীল সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে এজাতীয় প্রবণতা ইতিবাচক নয়।

এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশেরই নয়, স্বল্পোন্নত বা মধ্যমাপের উন্নত দেশগুলোর জন্যও সামাজিক সমস্যা, যা একাধারে শিক্ষায়তনিক ও সাংস্কৃতিক চরিত্রের। আমাদের মননশীলতার ভুবনে একাধিক সমস্যার মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ সমস্যা আমাদের তাৎক্ষণিক ফলের লক্ষ্য ও সংক্ষিপ্ত পথের যাত্রা, যা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনকেও খর্ব করেছে।

কী হতে পারে এর কারণ? কেন পশ্চিমা বিশ্ব প্রাচীন সভ্যতার দেশগুলোকে পেছনে ফেলে অবিশ্বাস্য ধারায় এগিয়ে গিয়ে গোটা বিশ্বে প্রভুত্ব বিস্তার করেছে, শিল্পে, বাণিজ্যে এগিয়ে উপনিবেশ স্থাপন করেছে বিশ্বজুড়ে। আপাত কারণটি তো সবাই জানি—আর তা হলো পাশ্চাত্যের, বিশেষভাবে একসময় ইউরোপের জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তিচর্চার সুফল-পরিণামে শিল্প বিপ্লব এবং সেই শিল্পে শিল্পোদ্যোগ-উৎপাদন, বাজার অন্বেষা ও আবিষ্কার এবং উপনিবেশ বিস্তার।

ভারতীয় উপমহাদেশসহ প্রাচ্য ও সংলগ্ন অঞ্চল এবং বিশেষভাবে আফ্রো-এশিয়ার সভ্যতা ও সমর ক্ষমতা ও বাণিজ্যবুদ্ধি এবং সাম্রাজ্য বিস্তার সত্ত্বেও সময়ের চেতনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের পিছিয়ে পড়াটা কি ঐতিহাসিক পশ্চাদ্গতি বা ‘হিস্টোরিক্যাল ল্যাগ’ হিসেবে বিবেচনার যোগ্য, নাকি অন্য কিছু? ঐতিহাসিক দূরদৃষ্টি ও বিচক্ষণতার অভাব কি এ ক্ষেত্রে বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে?

তা না হলে প্রাচীন সভ্যতার সোনালি যুগ পার হয়েও মধ্য যুগের সূচনাকাল থেকে দেশ জয় এবং শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চার আলোকিত পর্যায়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নেপথ্যে বিলাস-ব্যসন প্রধান হয়ে দাঁড়াল কেন—জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার ধারাটিকে বিকশিত করে তোলার দিকে নজর গেল না কেন। বিলাসিতাজনিত অবক্ষয় রাজশাসন ও সমাজকে গ্রাস করেছিল কেন? এর ঐতিহাসিক, যুক্তিবাদী, তাত্ত্বিক জবাব কী হতে পারে?

তবে বাস্তবে যা ঘটেছে তা হলো উঠতি ইউরোপে জাতিরাষ্ট্রের বিকাশ তাদের উচ্চস্তরে তাদের ভবিষ্যৎ রচনার যে উদ্ভাবনী ও অনুসন্ধানী মানসিকতার জন্ম দিল তার আকর্ষণে প্রাচ্যের জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার সলতেগুলো ধরে তাকে নতুন থেকে নতুনতর স্তরে নিয়ে যাওয়ার ইতিহাস বিস্ময়কর বললেও যথেষ্ট বলা হয় না।

ইউরোপের সেই জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসটি সত্যিই অসাধারণ। তখন কতসংখ্যক জ্ঞানী ও বিজ্ঞানীর যে আবির্ভাব ঘটেছে, সেই সঙ্গে নিত্যনব আবিষ্কার—তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক উভয় দিকে, সে ইতিহাস হিসেবে মেলানো কঠিন। নামগুলো আমাদের অতিচেনা—পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসা ও যান্ত্রিক প্রকৌশলবিদ্যা, সব দিক থেকে অভিনবত্বের প্রসার। ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাওয়া।

আর ঠিক এ সময় সমৃদ্ধ প্রাচ্য দেশগুলোর উর্বর কৃষি উৎপাদনের ফসলনির্ভর বিলাসী-সোনালি আসনে বসে পরম আলস্যে কাল যাপন। তাতে স্বল্প ব্যতিক্রম বাদে প্রখর মস্তিষ্কচর্চার অবকাশ ছিল না, যে চর্চা জ্ঞান-বিজ্ঞানকে মননশীলতায় সামাজিক প্রতিষ্ঠা দিতে পারে। সমাজও তাই হয়ে ওঠে বিলাসনির্ভর, বৌদ্ধিককর্মহীন অলসতানির্ভর, তৎপরতাহীন জড়ত্বের প্রতীক। বাইরে প্রবল চোখ ঝলসানো চাকচিক্য—সেখানে বুদ্ধির প্রখরতার নিতান্ত ঘাটতি।

দুই.

ইউরোপ সেই সুযোগে এগিয়ে গেছে জাগতিক সমৃদ্ধি ও একই সঙ্গে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসার সমৃদ্ধ ফল আহরণে, যে কারণে শেষ পর্যন্ত তার জ্ঞান-বিজ্ঞান শক্তি, অর্থশক্তি ও অস্ত্রশক্তি এই ত্রিধারায় বিকশিত হয়েছে। এই শক্তিনির্ভরতায় ইউরোপ ও আমেরিকা বিশ্বশাসনের যোগ্যতা অর্জন করেছে। আর দুই বিশ্বযুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে পৌঁছে দিয়েছে এক নম্বর পরাশক্তির মর্যাদার আসনে।

অবক্ষয়ে জীর্ণ রাজ্যশাসন থেকে জাতিরাষ্ট্রের তীক্ষ চাতুর্যে ও বুদ্ধিমত্তায় পৌঁছে জাগতিক অর্জনে পৌঁছানোর যাত্রায় ও প্রতিযোগিতায় অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে আমাদের। এর মধ্যে আদর্শনিষ্ঠ জাতীয়-আন্তর্জাতিক চেতনায় ভর করে ব্যতিক্রমী ধারায় গুটিকয় প্রাচ্যদেশীয় রাষ্ট্রের যে প্রতিযোগিতামূলক উত্থান (যেমন চীন) সেই ধারাটি খুবই ছোট ও সংকীর্ণ।

তাই কোনো কোনো প্রাচ্যদেশীয় রাষ্ট্র শিক্ষায় উচ্চকোটিতে পৌঁছালেও বিজ্ঞান-প্রযুক্তিচর্চার অভিনবত্বে ও আবিষ্কারে বিশেষ কোনো স্থান দখল করতে পারেনি। বৈজ্ঞানিক বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বা তার এগিয়ে চলার পথে প্রাচ্যের মধ্যস্থানীয় শিক্ষিত দেশগুলোর ভূমিকা অতি সামান্য। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে তাদের অবদানও গৌণ, বিশেষ করে মৌলিক আবিষ্কারে।

বিষয়টি কি দৃষ্টিভঙ্গির, নাকি রাজনৈতিক-শিক্ষায়তনিক হিসাব-নিকাশের? পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থার (বিজ্ঞান শিক্ষাসহ) সঙ্গে আমাদের মধ্যম সারির দেশগুলো এবং বিশেষভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মৌলিক প্রভেদ সম্ভবত আমাদের বিজ্ঞান-প্রযুক্তির পশ্চাৎপদতার অন্যতম প্রধান কারণ।

আমরা পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোকে অনুসরণ করছি, কিন্তু মূলত বহিরঙ্গে, তাদের অন্তর্নিহিত সমৃদ্ধ, উদ্ভাবন শক্তিসম্পন্ন জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার মতো কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশই আমরা গড়ে তুলিনি বা তুলতে পারিনি আমাদের শিক্ষাঙ্গনে—উচ্চ, মধ্যম বা প্রাথমিক স্তরে। শিক্ষার্থীর উদ্ভাবনী শক্তির অঙ্কুুর ও বিকাশ ঘটার শুরু তো ওই নিম্নস্তরে বিশেষভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ে।

বিশ্ববিচারে এ পর্যন্ত কয়টা মৌলিক বিজ্ঞানভিত্তিক আবিষ্কার প্রাচ্যদেশীয় আধুনিককালের প্রতিষ্ঠানগুলোতে হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাব নিঃসন্দেহে হতাশাব্যঞ্জক; নেতিবাচক যদি না-ও হয়। অথচ একালে এসব দেশে মেধা ও মেধাবীর কি খুব অভাব? আর তা নয় বলেই এসব দেশের তো বটেই. খোদ বাংলাদেশের মেধাবীদের যাত্রা দুই-চারটি অতি উন্নত দেশে, মূলত ভাগ্যোন্নতিতে, দ্বিতীয়ত মেধার ব্যবহারে।

তিন.

এবার যদি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আসি—আমাদের শিক্ষার সর্বপর্যায়ের, বিশেষ করে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিক্ষার মানগত মৌলিক বিচার-বিবেচনায়, তাহলে দেখা যাবে, সেখানে নিতান্তই ডিগ্রি সনদ লাভই আমাদের শিক্ষার একমাত্র লক্ষ্য—একদিকে যেমন আলোকিত চিত্তের মানুষ গড়া নয়, অন্যদিকে তেমনি বিজ্ঞান-প্রযুক্তির মৌল গবেষণালব্ধ আবিষ্কারের আদর্শেরও অনুসারী নয়।

রবীন্দ্রনাথ সেই কতকাল আগে (প্রায় শতবর্ষ আগে) তাঁর উচ্চশিক্ষায়তনে বিশ্বসাহিত্য পাঠের পাশাপাশি বিজ্ঞানচর্চার নীতিগত সূচনা ঘটিয়েছিলেন, যা তিনি বিকশিত করে তোলার সময় ও সুযোগ এবং অর্থনৈতিক সুবিধা পাননি। পরে বিশ্বভারতী তো ওই মূলনীতি থেকে সরে গেছে, বিশেষ করে বিজ্ঞানচর্চার মৌল আদর্শ থেকে। সবাই জানি, রবীন্দ্রনাথ তাঁর শিক্ষাদর্শকে শুধু ডিগ্রি ও সনদপ্রাপ্তির মাধ্যম রূপে গ্রহণ করেননি।

দীর্ঘ আনুষঙ্গিক (কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ) আলোচনা শেষে বলতে হয়, ভারতবর্ষীয় বঙ্গীয় সমাজে ১৯ শতকের নবজাগরণ যেমন সঠিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি, সেই ধারাবাহিকতায় ২০ শতক পেরিয়ে এসেও উন্নত বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থা ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তিচর্চার মূলনীতি ও সূত্রটি আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা দূরে থাক, তেমন দূরদৃষ্টি ও বিচক্ষণতার অধিকারী আমরা নই।

সংক্ষিপ্ত পথে, কৌশলী পথে বিদ্যালাভ-শিক্ষালাভ আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য। তাই কোচিং বাণিজ্য ও গাইড বই শিক্ষায় আমাদের প্রধান নির্ভরতা। লক্ষ্য ডিগ্রি অর্জন এবং মূল্যবান উচ্চ পদজীবিকা, মৌলিক গবেষণা নয়। গবেষণার উপযোগী বিজ্ঞান-প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রতি নীতিগত দৃষ্টি এবং আগ্রহ কোনোটাই আমাদের নেই।

এদিক থেকে কিছু গঠন ও সৃষ্টির প্রয়োজন বোধ আমাদের নেই। ফলে আমাদের মেধাবীরা তাদের মেধার সুবিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একদিকে তাদের উদ্ভাবন-অনুসন্ধিৎসা জাগিয়ে তোলার উপযোগী শিক্ষকতার অভাব, অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক ঘাটতি, উচ্চমান গবেষণাগারের ঘাটতি। অথচ সাদামাটা ব্যবস্থাপনার মধ্যে আমাদের পাট-ধান গবেষণার ক্ষেত্রে অসাধারণ কিছু অর্জন সম্পন্ন হয়েছে আমাদের বিজ্ঞানীদের হাতে।

তাই আমাদের শিক্ষার সর্বস্তরে আধুনিক পশ্চিমা-শিক্ষার সৎ সূত্রগুলোর বাস্তব প্রতিষ্ঠার উপযোগী করে শিক্ষায়তন গড়ে তোলা দরকার এবং সে অনুযায়ী শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবায়ন চাই। একের পর এক সাদামাটা মানের উচ্চশিক্ষায়তন, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা অর্থহীন। এতে মধ্যমানের (ডিগ্রিধারী) শিক্ষিতই তৈরি হবে, যারা উচ্চমার্গীয় গবেষণার ভুবনে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারবে না।

জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চায় মননশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটাতে হবে। প্রবাদবাক্যমাফিক এর খোলনলচে বদলে ফেলতে হবে। কেউ কি এ কাজে এগিয়ে আসবেন? সদিচ্ছা থাকলে এ ক্ষেত্রে যোগ্যতার অভাব ঘটবে বলে মনে হয় না। আমাদের শিক্ষায়তনে মেধা ও মেধাবীর সংখ্যা খুব কম বলে তো মনে হয় না। দরকার তাদের সদ্ব্যবহার ও সে উপযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। বলা বাহুল্য, তাতে থাকা উচিত বিজ্ঞান-প্রযুক্তি গবেষণার ব্যবস্থা, তেমন ব্যবস্থা কি আমাদের আছে?

লেখক : কবি, গবেষক, ভাষাসংগ্রামী

 

সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ

নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034208297729492