দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারীসহ খুলনার দৌলতপুর কলেজের ৫ শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। দৌলতপুর কলেজে অযোগ্য শিক্ষককে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কলেজটির বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ চৌধুরী মাহবুবুল হক।
এ অভিযোগ তদন্তে খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালককে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। বুধবার (১৭ অক্টোবর) অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
অভিযোগে জানা যায় দৌলতপুর কলেজে কর্মরত সহকারী গ্রন্থাগারিক শারমিন ইয়াসমিন। তিনি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরা শাখা থেকে সহকারী গ্রন্থাগারিক বিষয়ে সনদ অর্জন করেছেন। কিন্তু এমপিওভুক্তিতে দারুল ইহাসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত সনদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। বিভিন্ন সময়ে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সহকারী গ্রন্থাগারিক শার্মিন ইয়াসমিনকে সনদ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখাতে বলা হলে তিনি তা দেখাতে পারেননি।
অভিযোগে আরও বলা হয়, কলেজটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মো: জাহাঙ্গীর আলম সবুজ এইচএসসিতে কম্পার্টমেন্টাল সনদধারী। যা তৃতীয় বিভাগের নিচে অর্থাৎ কোন বিভাগের অর্ন্তগত নয়। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার না করেও কলেজের দুর্নীতি করে পরিচালনা কমিটির সভাপতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে পত্রিকায় ফাইনান্স বিষয়ে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রিধারী মো. আবুল কালাম আজাদকে ফাইনান্স বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে দৌলতপুর কলেজে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে, বাছাই বা নিয়োগ কমিটি গঠন না করেই মো: আবুল কালাম আজাদকে হিসাববিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে আত্তীকরণ করা হয়। এছাড়া নট্রামস অনুমোদিত সনদ না থাকা সত্ত্বেও সাচিবিক বিদ্যা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রভাষক পদে এ এস এম আনিছুর রহমানকে নিয়োগ প্রদান করা হয়ছে বলে অভিযোগে বলা হয়। তার নিয়োগের সময় যোগ্য প্রার্থী ছিল।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ৩০ শতাংশ মহিলা কোটা পূরণ না থাকা সত্ত্বেও অর্থনীতির প্রভাষক মো: আরিফুজ্জামান মাহমুদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চেক ডিজঅনার জনিত মামলায় তার এমপিও স্থগিত রয়েছে। এ অভিযোগগুলো সরেজমিনে তদন্ত করে খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালককে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।