খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় সদ্য এমপিওভুক্ত একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পেছনের তারিখে (ব্যাক ডেটে) শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়োগে মোটা অঙ্কের অর্থ বাণিজ্য হচ্ছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। কিন্তু বাধা হয়ে উঠেছেন শিক্ষকরা।
ঘটনাটি ঘটেছে সেনহাটী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। এই স্কুলটির আগের নাম ছিল আসমা-সারোয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সম্প্রতি এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
জানা যায়, স্কুলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি সম্প্রতি স্কুলে এসে নতুন তিনজনকে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁরা হচ্ছেন, হিয়াজুর রহমান, আসাদুজ্জামান খান ও শিরীন আক্তার সীমা। ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে অর্থনীতিতে পড়ুয়া ছাত্রী সীমাকে দেখানো হচ্ছে। সামাজিক বিজ্ঞানে তিনি নিবন্ধিত। অন্যদের নিবন্ধন নেই। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মতে, পুরনো তারিখে তাঁদের নিয়োগ দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে নিবন্ধনের শর্ত প্রযোজ্য না হয়।
জানা যায়, ২০০২ সালে স্কুলটির কার্যক্রম শুরু হয়। তখন শিক্ষক নিয়োগে নিবন্ধন পদ্ধতির প্রচলন ছিল না। তখন প্রধান শিক্ষকসহ নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বেতন-ভাতা না পাওয়ায় বছরতিনেক পরে গণিতের শিক্ষক এবং সামাজিক বিজ্ঞানের দুজনসহ মোট তিনজন অন্য স্কুলে চলে যান। তখন থেকেই বিকল্প শিক্ষক দিয়ে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছিল।
২০০৯ সালে মাধ্যমিক স্তরে পাঠদানের অনুমোদন পাওয়ার পর আবার নিয়োগ দেওয়া হয়। তখন সরকারের দেওয়া বেতন-ভাতা পাওয়ার তালিকাভুক্ত না হওয়ায় ইংরেজি ও গণিতের কোনো শিক্ষক পাওয়া যায়নি। ওই দুটি পদ শূন্য ছিল। ২০১৯ সালে স্কুলটি এমপিওভুক্তি হয়। তাই শূন্যপদে পুরনো তারিখে নিয়োগের চেষ্টা চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই অপকর্ম করছেন। আর বাধাদানকারী শিক্ষকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। অথচ দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে অনেক শিক্ষক বিনা বেতনে স্কুলে কাজ করছেন।