সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে ওই সংঘর্ষ হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে স্থানীয় সাংসদের দেওয়া টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারার জের ধরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
নিহত কলেজছাত্রের নাম ফরিদুল ইসলাম। স্থানীয় পাইকোশা গ্রামের দানেজ আলীর ছেলে ও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আবদুর রশিদ, শিপন মিয়া, বেলাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ইমরুল হাসান, আব্দুল মজিদকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে স্থানীয় সাংসদ নেতা-কর্মীদের বকশিশ হিসেবে টাকা দেন। এই টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে গত শনিবার কামারখন্দ উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের যুবলীগ নেতা বাবুর সঙ্গে পাইকোশা গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মোহাম্মদ আলীর কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মোহাম্মদ আলীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা বাবুসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়। ঘটনাটি ব্যক্তি পর্যায়ে থাকলেও পরে এটি গ্রাম পর্যায়ে চলে যায়। এ ঘটনার জের ধরে আজ বুধবার বাগবাটি গ্রামের লোকজন পাইকোশা বাজারে গিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
এ সময় দুটি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও দুটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদুলকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফরিদুল মারা যান।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বলেন, কামারখন্দের ঘটনার সঙ্গে যুবলীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মূলত দুই গ্রামের মধ্যে পূর্বশত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাসুদেব সিনহা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।