রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে নাজমুল হোসেন (১০) নামে এক মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে রেলপথ পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে উদ্ধারের সময় মৃতদেহের গলায় গামছা পেঁচানো ছিল। পুলিশের ধারণা, শ্বাসরোধে হত্যার পর তাকে ওই স্থানে ফেলে রাখা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার রাতে শ্যামপুর থেকে ইয়াছিন আরাফাত (১১) নামে আরেক মাদরাসাছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা রেলপথ থানার বিমানবন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নাজমুলকে হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সম্ভাব্য কয়েকটি দিক মাথায় রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন ছিল। তবে শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় রেলপথ থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, খিলক্ষেতে লা মেরিডিয়েন হোটেলের পেছনের এলাকার রেললাইন থেকে সকাল ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তার বাবা মৃত আমিরুল হোসেন। মা নাজমা বেগম খিলক্ষেতের জামতলা এলাকায় তৃতীয় স্বামী খোরশেদ আলমের সঙ্গে থাকেন। নাজমুল তার প্রথম পক্ষের সন্তান। সে শাহজাদপুর এলাকার একটি এতিমখানা মাদরাসায় থেকে পড়ালেখা করত।
এদিকে, শ্যামপুরের মিতালী গলির বাসা থেকে ইয়াসিন আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা স্বজন ও পুলিশের।
শ্যামপুর থানা পুলিশ জানায়, শিশুটি স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ত। তার বাবা হানিফ পেশায় রিকশাচালক ও মা লিপি বেগম গৃহিণী। মঙ্গলবার তার মা তাকে মাদরাসায় যেতে বলার পরও সে যায়নি। এ নিয়ে তাকে বকুনি দেন লিপি। পরে ঘরের ভেতর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড় ছিল ইয়াসিন।
এদিকে, শিশুটিকে মাদরাসায় নির্যাতন করা হতো বলে স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে। অবশ্য শিশুটির স্বজনরা বলেছেন, এমন কিছু তাদের জানা নেই। শ্যামপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, শিশুটিকে নির্যাতনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।