দুইজন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। কিন্তু এমপিওভুক্ত হতে পারেননি ওই দুই শিক্ষক। পরে আবারও ৬ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন তিনি। এছাড়া কলেজের ফান্ড থেকে গত এক বছরে ৬ লাখ আত্মসাৎ করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দুই শিক্ষকের কাছ থেকে লাখ টাকা ঘুষ নেয়া ও কলেজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নওগাঁর রাণীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজের সভাপতি সুশান্ত কুমার মাহাতো। বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষকে অব্যাহতি দিয়ে ওই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেনকে অধ্যক্ষের দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে।
অব্যাহতি দিয়ে জারি করা চিঠিতে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলাম কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ বিভিন্ন নিয়ম বহির্ভূত কাজ করে আসছিলেন। এই সব কাজের জন্য অধ্যক্ষকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় এবং জবাবে তাকে ক্ষমা করা হয়। এরপরও অধ্যক্ষ কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সুজিত চন্দ্র সাহা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক সনজীব কুমার সাহার বেতন ভাতা করে দেয়ার নামে (এমপিওভুক্ত করে দিতে) তাদের কাছ থেকে প্রথমে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেন। পরে আরও ৬ লাখ টাকা দেয়ার জন্য বার বার চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই দুই শিক্ষকের এমপিও হয়নি। এছাড়াও গতবছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত কলেজের আয়ের ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকার মধ্যে ৬ লাখ ৮২ হাজার কলেজের অ্যাকাউন্টে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘তার এসব কর্মকাণ্ড চাকরি বিধির পরিপন্থি হওয়ার কারণে অধ্যক্ষ এবং ওই কলেজের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন চন্দ্রকে গত ৩১মার্চ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেই। অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলাম শোকজের যে জবাব দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়। তাই কলেজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলামকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেনকে ওই পদে নিযুক্ত করেছি।’