বরিশালের ব্যাপিস্ট মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনূর্ধ্ব ১৭ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১১ টার বরিশাল বিএম স্কুল প্রাঙ্গণে খেলা চলাকালীন এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, কাশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক নাজমুল হোসেন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহতদের ২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, বিএম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র শাফিন (১৫), ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও স্থানীয় এক ব্যবসায়ী তাজিম আহম্মেদ (২৫)।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাপিস্ট মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনূর্ধ্ব ১৭ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন রেফারির ভূমিকা নিয়ে কাশিপুর স্কুলের খেলোয়াররা অসন্তোষ জানালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উত্তেজনার একপর্যায় দু’পক্ষের খেলোয়াররা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে বিএম স্কুলের প্রধান লুৎফুর রহমান ও কেরানি ফিরোজ এগিয়ে আসলে ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়রা তাদের ওপরও চড়াও হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এসময় কাশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক নাজমুল হোসেন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে দুই জনের মাথা ফাটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আহতরা। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ তাদের কছে আছে বলেও দাবি করেন তারা।
স্থানীয়রা আহত ২ জনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে বিএম স্কুলের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমি বিষয়টা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি। খেলা নিয়ে সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিষয়টি আমার ভালো লাগেনি। খেলার মধ্যে এটা কাম্য ছিল না।
এ ব্যাপারে কাশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মামুন অর রশিদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, খেলার সময়ে আমি মিটিং এ ছিলাম। বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে ক্রীড়া শিক্ষক নাজমুল হোসেন এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন তা আমি জানি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
কাশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক নাজমুল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আহতের স্বজনরা।