দুপুর হলেই বন্ধ হয়ে যায় সরকারি স্কুল - দৈনিকশিক্ষা

দুপুর হলেই বন্ধ হয়ে যায় সরকারি স্কুল

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

শতভাগ এ-প্লাসের নিশ্চয়তার অঙ্গীকারে যখন বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো শিক্ষার্থীর খোঁজে বাড়ি বাড়ি ঘুরছে ঠিক তখনই গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বেশ কিছু সরকারি স্কুল সময়ের আগেই বন্ধ রেখে শিক্ষকরা নিজের ইচ্ছায় ফাঁকি দিচ্ছেন। ৫ ঘণ্টায় ৬ জন শিক্ষক মিলে একটি বা দুটি বিষয়ে পাঠদান দিয়ে দুপুর হলেই স্কুল বন্ধ করে বাড়ি ফিরছেন তারা। ফলে সরকারি স্কুলের প্রতি মানুষের আগ্রহ হাড়াচ্ছে এবং দিন দিন তারা বেসরকারি প্রাইভেট স্কুলের দিকে ঝুকছেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন সোলায়মান আলী।

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, শনিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের সন্যাসদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক নেই। অফিস সহকারী অফিস কক্ষে বসে কম্পিউটার চালাচ্ছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ ৬ জন উপস্থিত থাকলেও তাদের চেয়ারগুলো ছিল ফাঁকা। স্কুল থেকে একটু দূরে পদুমশহর ইউনিয়নের বাবুর বাজারে পাশ দিয়ে এই স্কুলের কিছু ছাত্র-ছাত্রী বাড়ি ফিরছে।  শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে  তারা জানান, শিক্ষকরা ক্লাস নেয় না। সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ২টি বিষয়ে পাঠদান দেয়া হয়েছে বাকি সময় খেলাধুলা করেই শেষ। শিক্ষকরা ছুটি দিয়ে বাড়ি গেছেন।

পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিভাবক মিজানুর রহমান জানান, পহেলা জানুয়ারি বই দেয়া হলেও ক্লাস নেয়ার বিষয়ে স্যারদের আগ্রহ নেই। সময় মতোই স্কুলে আসলেও কিন্তু ইচ্ছা মতো চলে যায়। তাই এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিশুরা বছরের শুরুতেই নতুন বই পেয়ে লেখাপড়ার আগ্রহী হলেও শিক্ষকদের অবহেলার কারণে মনোযোগ হারাচ্ছে।

আরেক অভিভাবক আব্দুস ছাত্তার জানান, বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই দিচ্ছেন সরকার। কিন্তু শিক্ষকরা যদি বছরের শুরু থেকেই পাঠদানের ব্যবস্থা করতো তাহলে বেসরকারি প্রাইভেট স্কুলগুলোর চেয়েও সরকারি স্কুলগুলোর লেখাপাড়ার মান ভালো হতো।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিল্পী বেগম জানান, স্কুল বন্ধ থাকার কথা না। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।

এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের করা হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034370422363281