তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত নয়; মধ্যম আয়ের দেশ। মাত্র সাড়ে ১০ বছরে যে পরিমাণ জিডিপি বেড়েছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। এ উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রকৌশলীদের অবদান ব্যতীত কখনোই সফল হতো না। প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অপরিসীম। চুয়েট বিগত ৫১ বছরের পথচলায় বহু প্রকৌশলী তৈরি করেছে। যারা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি বিদেশেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নির্বাহী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, প্রাক্তন ছাত্র সমন্বয় ও র্যালি উপকমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. জিএম সাদিকুল ইসলাম, চুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী
কবির আহমদ ভুঁঞা, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন, অর্থ কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী ফিরোজ খান নুন ফারাজী, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর সেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বণিক, পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'আমরা বাঙালিরা বৈশ্বিকভাবে হয়তো ধনী নই। কিন্তু মেধার দিক দিয়ে আমরা অনেক দেশ থেকে এগিয়ে। সাহিত্য, অর্থনীতি, প্রকৌশল ও স্থাপত্য ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়ে। দীর্ঘতম সেতু, নদীর তলদেশে টানেল কিংবা ফ্লাইওভার নির্মাণের মতো বস্তুগত উন্নয়ন দিয়ে দেশ উন্নত হয়। কিন্তু এ রকম উন্নয়ন দিয়ে বেশিদূর এগিয়ে যাওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য হচ্ছে একটা উন্নত দেশ গঠন করা। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি উন্নত জাতি গঠন করতে হবে।'
অনুষ্ঠানে চুয়েটের সাবেক অধ্যক্ষ, পরিচালক ও উপাচার্যদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।