দ্বিতীয় দিনেও কর্মবিরতিতে স্থবির জবি

দ্বিতীয় দিনেও কর্মবিরতিতে স্থবির জবি

সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।

সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। 

দ্বিতীয় দিনেও কর্মবিরতিতে স্থবির জবি

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে জবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে এ কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ বলেন, বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিম ও পেনশন প্রজ্ঞাপন শুধু অর্থের বিষয় নয়, এখানে শিক্ষকদের মান-মর্যাদা জড়িত। বর্তমান সরকার শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অতীতেও জাতি শিক্ষকদের সম্মান দিতে পারেনি। ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহকেও প্রফেসর করা হয়নি। ফলে আমরা জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারিনি। ফলে শিক্ষকদের মর্যাদা না দিলে ভবিষ্যতে উন্নত জাতি তৈরি হবে না। 

অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, আমরা আমাদের জন্য আন্দোলন করছি না। আমাদের পরবর্তীদের ভবিষ্যতের আন্দোলন করছি। আমরা সম্মানী চাই না, সম্মান চাই। ২০৪১ বা যে খ্রিষ্টাব্দের কথাই বলেন, এভাবে চললে, বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যহীন রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, যতোদিন পর্যন্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন বাতিল না হবে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। নতুন পেনশন স্কিমে আমাদের বর্তমান শিক্ষকদের কোনো ক্ষতি হবে না, যেসব মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবেন তাদেরই ক্ষতি হবে। আমরা তাদের আর্থিক স্বচ্ছতা ও স্বকীয়তা রক্ষায় আন্দোলন করছি।

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভায় জবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. কাদের (কাজী মনির) বলেন, আমাদের দাবি যদি না মানা হয়, তাহলে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ অচল করে দেয়া হবে। আমাদের সঙ্গে সকল বিশ্ববিদ্যালয় একাত্বতা ঘোষণা করেছে। আমরা আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবো না। একটা রেজাল্ট নিয়েই আমরা ফিরবো। 

জবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. জামাল হোসাইন বলেন, আমাদের দাবি যদি না মানা হয়, অনতিবিলম্বে সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন নামবো। এই আন্দোলন চলছে, চলবে। দরকার হলে আমরা রাজপথে রক্ত দেবো।