দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মায়িশা মনাওয়রা মিশু। দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হযরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। বিদ্যালয়ের পাশের ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট হয় শিক্ষার্থীদের। এই সমস্যাটির কথা তুলে ধরে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর একটি চিঠি লিখেছে সে। চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
মিশু চিঠিতে লিখেছে-
'মাননীয় ডিসি স্যার, দিনাজপুর
ছালাম নিবেন।
আমরা দিনাজপুর জেলার পাবর্তীপুর উপজেলার হয়বতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি। আমাদের স্কুলের পাশে বিপ্লব নামের একজন লোক ইটের ভাটা দিয়েছে। ভাটার কালো ধোয়ায় আমাদের শ্বাসকষ্ট হয়। পরিবেশের খতি হয়। চোখ জালা করে। এখন আবার স্কুলের পাশে মুক্তা নামের এক লোক আরেকটা ভাটা দিতেছে। তাহলে আমাদের আরো কষ্ট হবে। আমরা কিভাবে বাঁচব।...আপনি আমাদের বাঁচান।
ইতি
----মায়িশা মনাওয়রা মিশু, দ্বিতীয় শ্রেণি, রোল-২।’
মিশুর এই চিঠি পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুধবার (২৭ মার্চ) মিশুর বাসায় উপস্থিত হন। ইটভাটাটি শিগগিরই সরিয়ে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এদিকে মিশুর বাবা মোমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ফোন করে মিশুর সাথে কথা বলেছেন। প্রতিমন্ত্রী মিশুকে বলেছেন, ডিসি সাহেবকে বলে দিয়েছি, তিনি ইটভাটা সরানোর ব্যবস্থা করছেন।'
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম জানিয়েছেন, ইটভাটা বন্ধ করতে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চিঠিটি পাওয়ার পর ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে ওই দুটি ভাটা যে অবস্থায় আছে, সে অবস্থায় থাকবে বলে উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশনা রয়েছে। তাই এখনই ভাটা ভেঙে ফেলা সম্ভব হচ্ছে না।