চট্টগ্রামের রাজনীতিতে তার কোনো গ্রুপ নেই, এ কথা বলেছেনে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তার নাম ব্যবহার করে কেউ যদি অপরাধ করে, তাহলে তাকে যেন আইনের আওতায় আনা হয় বলেও বলেন তিনি।
সম্প্রতি একটি দৈনিক পত্রিকায় 'চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগে বিভক্তি :নাছির-নওফেল দু'জনকেই প্রধানমন্ত্রীর কঠোর বার্তা' শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, ‘চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগে কোন্দল মেটাতে কঠোর হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় রাজনীতির গ্রুপিংয়ে নেতৃত্ব দেয়া উপমন্ত্রী নওফেল ও মেয়র নাছিরকে আস্তে আস্তে 'ক্ষমতাহীন' করছেন তিনি। শিক্ষা উপমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। দুই মাস আগে তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রী একই শিক্ষা দিলেন বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে। তার বদলে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে তৃণমূল থেকে মেয়র প্রার্থী করেছেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রেজাউল করিম চৌধুরীকে। দলীয় কোন্দলে ইন্ধন দেওয়াতেই দুই মাসের ব্যবধানে চট্টগ্রামের আলোচিত দুই নেতার এভাবে ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতি বিশ্নেষকরা’।
প্রকাশিত ওই খবরের ব্যাখ্যায় শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের রাজনীতিতে আমার কোনো গ্রুপ নেই। কোনো গ্রুপকে পৃষ্ঠপোষকতাও করছি না। আমার অতি উৎসাহী হয়ে কেউ যদি 'নওফেল গ্রুপ' পরিচয় দেয়, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হোক’।
নওফেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশই তার কাছে শিরোধার্য। প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীই তার প্রার্থী। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি কখনও কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেননি। মূল দল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো গ্রুপিংয়েও তিনি বিশ্বাসী নন।