গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কেন্দুয়া এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে বন্ধুদের সাথে স্থানীয় বানার নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় মাদরাসা ছাত্র মো. রাসেল। আজ (১৪ মে) বৃহস্পতিবার সকালে দুইদিন পর পাশ^বর্তী কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত মো. রাসেল (১৬) শ্রীপুরের বরমী মধ্যপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে এবং বরমী ছিটপাড়া হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিলেন।
মরদেহ দুইদিন পর ঘটনাস্থলের প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী এলাকায় ভেসে উঠেছে। আজ সকালে এ মরদেহ ভেসে ওঠে।
বরমীর এলাকার ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে রাসেল এবং তার চার বন্ধু শীতলক্ষ্যায় গোসল করতে নামেন। গোসলের সময় সাতার কাটতে গিয়ে রাসেল শীতলক্ষ্যায় তলিয়ে যেতে থাকে। তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলে ডাক চিৎিকার শুরু করেন এবং এলাকাবসীকে জানান। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাসেল নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় এবং নিজেরা উদ্ধারে অভিযান চালায়।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ম্যানেজার রাম প্রাসাদ পাল জানান, বরমী এলাকার শীতলক্ষার শাখা বানার নদীতে মাদরাসা ছাত্র ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দলের একটি ইউনিট মঙ্গলবার বিকাল থেকে অভিযান চালায়। সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও আশেপাশে তার লাশ না পেয়ে পরদিন বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বানার ও পাশের শীতলক্ষ্যায় নদীতে ডুবুরি দল রাসেলকে উদ্ধারে তল্লাশী চালান। কিন্তু রাসেলের মরদেহ না পেয়ে ডুবুরি দল চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলের এক কিলোমিটার দক্ষিণে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী এলাকায় রাসেলের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পুলিশ নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে।