সজীব, রেদোয়ান, খোকন, সুজন, সাফায়াত, আরিফ, হিরা, আশিক, মাহবুব, বাঁধন, মাহফুজ ওরা সবাই গোয়ালন্দ সরকারি কমরুল ইসলাম কলেজের ছাত্র।
শুক্রবার ভাঙনকবলিত পদ্মা পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙন আতঙ্কে বাড়িঘর ও সহায়-সম্বল গুছিয়ে ট্রলার-নছিমনে তুলে দিচ্ছে ওরা। প্রথমে দেখে মনে হয়েছে হয়তো আত্মীয়স্বজন কারো সহযোগিতায় ওরা এসেছে। কিন্তু এক সঙ্গে কলেজের পোশাক পরিহিত এতগুলো কিশোরকে দেখে জিজ্ঞাসা করতেই ওরা জবাব দিল, ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করতেই তারা এসেছে।
এসময় কথা হয় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সজীব শাহরিয়ারের সঙ্গে। সে জানায়, আত্মীয় হতে হবে কেন? ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমাদের তেমন কিছু করার নেই। তাই যেটুকু সাধ্য আছে তাই করছি। অধ্যক্ষ স্যারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আমরা গত কয়েকদিন ধরে এই কাজ করছি।
জানা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। ভাঙনের কবলে পড়ে প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে অসংখ্য ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। শত শত পরিবার ভাঙন আতঙ্কে সরিয়ে নিচ্ছে ঘরবাড়ি। সবারই ঠাঁই হয়েছে বিভিন্ন রাস্তার পাশে অথবা স্কুলের মাঠে।