ইআইআইএনভুক্ত (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি নম্বর) সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের তালিকা হালনাগাদকরণে অনিয়মেরর অভিযোগ এনেছেন শিক্ষকরা। তাদের অভিযোগ মাঠ পর্যায়ের কতিপয় শিক্ষা কর্মকর্তা শুধু নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকা জমা নিচ্ছেন। স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু দৈনিক শিক্ষার কাছে এ অভিযোগের বিষয়টি তুলে ধরেন।
২৭ মে রাতে স্বাশিপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনায় দুর্দশাগ্রস্থ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থিক সহায়তার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা সকল ননএমপিও ও এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা পাবেন। কোন জেলা থেকে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা শুধু ননএমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের তালিকা জমা নিচ্ছেন।
দৈনিক শিক্ষায় পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আর্থিক সহায়তা থেকে ননএমপিও কোন শিক্ষক কর্মচারী যদি বঞ্চিত হয় তার দায় শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিতে হবে।
গত ২৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সব জেলা প্রশাসকের কাছে জরুরিভিত্তিতে ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। সাথে ব্যানবেইসের সর্বশেষ শিক্ষাজরিপের একটা খসড়া তালিকা দেয়া হয়েছে। আজ ২৮ মের মধ্যে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকাটি হালনাগাদ করে ইমেইলে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসকদের।
জানা গেছে, চিঠির সাথে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক কর্মচারীদের একটি তালিকাও ডিসিদের পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তালিকা যাচাই করে ইমেইলে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে ডিসিদের। গত ২৩ মে এ চিঠি জেলা প্রশাসকদের পাঠানো হয়।