কুড়িগ্রামের রৌমারীর নন-এমপিও শিক্ষক-কমচারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর এককালীন আর্থিক অনুদানের তালিকায় সরকারি শিক্ষকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। অনুদান প্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেরই আবার একই সাথে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার (৪ জুলাই) বিকালে উপজেলা চত্বরে নন-এমপিও ২০৪ জন শিক্ষক ও ৮৮ জন কর্মচারীর হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া জরুরি আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেয়া হয়। প্রত্যেক শিক্ষককে ৫ হাজার টাকা ও প্রত্যেক কর্মচারীকে ২ হাজার ৫০০ টাকার চেক তুলে দেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মোক্তার হোসেন।
কিন্তু নন-এমপিও তালিকায় নিজেদের নাম অর্ন্তভুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক নেন অনেক সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও বিভিন্ন চাকরিজীবী। এদের মধ্যে অনেকেরই আবার একই সাথে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
টাপুরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসেবে তাহমিনা আক্তারের নাম রয়েছে তালিকায়। তবে, তিনি কোদালকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তালিকায় রয়েছে কুটিরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে এ কে এম মোজাম্মেল হকের নামও। তবে, তিনি সুখেরবাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও সহকারী শিক্ষক কাজ করছেন।
সোনাভরি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে অনুদান নেয়া রেজাউল করিম প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন টাপুরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
সোনাভরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী, সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন, আরজিনা খাতুন, আব্দুল আজিজ নামের শিক্ষকরাও প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা উত্তোলন করেছেন। ইতোমধ্যে ওই প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে।
এছাড়াও দাঁতভাঙ্গা মডেল কলেজে যুক্তিবিদ্যার প্রভাষক হিসেবে অনুদান পাওয়া আব্দুল হাকিম দাঁতভাঙ্গা ফ্যামেলি প্ল্যানিংয়ে ইউনিয়ন পরিদর্শক হিসেবে কাজ করেন। নন-এমপিও শিক্ষকদের তালিকায় রয়েছে তার নামও।
সুখেরবাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ কে এম মোজাম্মেল হক অনুদান নেয়ার কথা স্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,‘ কলেজে নন-এমপিও শিক্ষক তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়ে চেক নিয়েছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ বি এম নকিবুল হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা কখনো নন-এমপিও তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়ে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। যদি কোনো শিক্ষক টাকা উত্তোলন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল ইমরান মুঠোফোনে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।