জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, লক্ষাধিক পদ সব শ্রেণি মিলে শূন্য রয়েছে সরকারি চাকরিতে অথচ ননক্যাডার থেকে ২-৩ হাজার জনের চাকরি পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না, যেমনটি ঘটেছিল ৩৬ তম বিসিএসের ননক্যাডারের ক্ষেত্রে। মোট ছিল ননক্যাডার ৩৩০৮ জন, আবেদন করেছিল প্রায় ৭০০০ জন আর চাকরি পেল প্রায় ১২০০ জন, বাদ পড়ে গেল বেশি সংখ্যক। ৩৭তম বিসিএসে ৩৪৫৪ জন ননক্যাডার রয়েছে।
সরকারি হাই স্কুলের পদই একমাত্র আশা জাগানিয়া ননক্যডারদের, সেখানে শূন্য পদ দুই হাজারের মতো। সাধারণ বিষয়ে যারা আছে তারা যেমন বেঁচে যাবে, আবার অন্যদেরও লাভ; কারণ হাই স্কুলের পদ সংখ্যা বেশি বলে এখানে পূরণ হওয়ার পর তারা অন্য পদগুলোতে নিয়োগের সুবিধা পাবে। তাছাড়া পিএসসিরও সুবিধা ননক্যাডারদের নিয়োগ দেওয়ার পরে কম সংখ্যক পদে নিয়োগ দিতে হবে; তাতে নতুন সার্কুলারের বোঝা ও সময় কমবে এবং ননক্যাডার ও সবাই খুশি হতে পারবে। কিন্তু হাই স্কুলের নতুন সার্কুলার হবে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। ননক্যডারদের নিয়োগ দিয়ে তারপর নতুন নিয়োগের সার্কুলার—এ লক্ষ্যেই তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ধরনা দিচ্ছে যাতে তাদের কথা ভাবা হয়। এছাড়াও অনেক মন্ত্রণালয়ে, দপ্তরে, অধিদপ্তরে তারা বিভিন্ন গ্রুপে গ্রুপে যাচ্ছে, ননক্যডার তথা নবম ও দশম গ্রেডের একটি চাকরির আশায়।
একটি নিয়োগ শেষ করতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনেক সময় লেগে যায়। প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, তারপর মৌখিক পরীক্ষা—এ ধাপগুলো পেরিয়েই ননক্যাডারদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয় এবং এদের নিয়োগ দেওয়াও খুবই সহজ। তাই ননক্যাডার নিয়োগের মাধ্যমে সরকার সহজেই মেধাবীদের নিয়োগ দিতে পারে এবং বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্যেও অনেক আস্থার জায়গা হবে পাবলিক সার্ভিস কমিশন।
পল্লবী মিরপুর, ঢাকা