একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় কত নম্বর পেলো তা কখনই তার মেধা যাচাইয়ের মাপকাঠি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, আমাদের অভিভাবকরা শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ফিরলে জিজ্ঞেস করেন, আজকে কি পরীক্ষা ছিল, কত নম্বর পেয়েছ। কিন্তু তারা কেউ সত্তাকে জিজ্ঞেস করেন না আজকে কি শিখেছ। এই মাইন্ডসেট থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি নম্বর ও পরীক্ষার ধারণা থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রোববার বিকেলে নায়েমে অনুষ্ঠিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যখন আমি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের কথা বলি তখন আমাকে প্রশ্ন করা হয়, আপা পরীক্ষাটা কবে হবে, কত নম্বরে পরীক্ষা হবে। এ ধরণা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হলে বছর খানেক সময়ের মধ্যে এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে কি ছি ছি সেটি শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয় কেমন করে শিখিয়ে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। নতুন শিক্ষাক্রমে শেখার ধরনটাও একটু ভিন্ন, শিক্ষা উপকরণগুলোও আলাদা। আগে আমরা শুধু বই পড়ে শিখতাম। এখন শিক্ষার্থীরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমসহ নানা শিক্ষা উপকরণের মাধ্যমে শিখবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের শেখাটা যাতে আনন্দদায়ক হয় তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তিতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, লটারিতে ভর্তিতে সব প্রতিষ্ঠানে সমান মেধার শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। লটারির মাধ্যমে ভর্তিতে ভর্তি কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।
কোন প্রতিষ্ঠান বেছে বেছে ভালো শিক্ষার্থী ভর্তি করে পরবর্তীতে ভালো ফলের কৃতিত্ব নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজধানীর একটি প্রতিষ্ঠানে আগে প্রতিবছর বেছে বেছে সবচেয়ে ভালো নম্বর পাওয়া ছাত্রীদের ভর্তি করা হতো। পরবর্তীতে সে সব শিক্ষার্থী যখন পরীক্ষায় ভালো ফল করতো তাতে প্রতিষ্ঠান কি কৃতিত্ব আছে আমি তা জানিনা। কারণ তারতো বেছে বেছে আগেই ভালো শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে ফেলেছে, তারা তো ভাল নম্বর পাবেই।
মন্ত্রী বলেন, কোন শিক্ষার্থী শুধু পরীক্ষায় ভালো নম্বর পায় সেটি কার মেধা যাচাইয়ের মাপকাঠি হতে পারে না। কোন শিক্ষার্থী খেলাধুলায় ভালো, কেউ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডতে ভালো। সেগুলোও বিবেচনায় আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ফারুকসহ টেলিটক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।