নারীদের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার চাহিদা বাড়ছে - দৈনিকশিক্ষা

ঢাবি শামসুন নাহার হলের পুনর্মিলনীতে বক্তারানারীদের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার চাহিদা বাড়ছে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

দেশে দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশ থেকে লোক আনতে হয়। দক্ষ জনগোষ্ঠী থাকলে এমনটা হতো না। এজন্য কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভাবা প্রয়োজন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে ৩৫০টি উপজেলায় নারীদের জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করেছেন। বর্তমান সরকারের আমলে নারীরা সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার চাহিদাও বাড়ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের চতুর্থ পুনর্মিলনীতে বক্তারা এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। হল অ্যালামনাইয়ের সভাপতি আভা দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদ, হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা। 

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, সিনিয়র সহসভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার। স্বাগত বক্তব্য দেন হল অ্যালামনাইয়ের সাধারণ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যায়। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। অ্যালামনাইদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করছেন। আপনারা পথ দেখিয়েছেন বলেই আজ মেয়েরা ছেলেদের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে।

এ. কে. আজাদ বলেন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে তিন বছর কাজ করছি। এ দায়িত্বের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো বৃত্তির ইন্টারভিউ বোর্ডে কোনো শিক্ষার্থীকে 

বৃত্তি না দিতে পারা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে কত কষ্ট করে, সেটা ভালো জানেন বৃত্তি প্রদানকারীরা। শামসুন নাহার হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা প্রতি বছর অন্তত একবার নিজেদের হলে গিয়ে উত্তরসূরিদের অবস্থা দেখে আসতে পারেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন শিক্ষার্থীরা কী কষ্টে থাকে।

তিনি বলেন, অ্যালামনাইয়ের পক্ষ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৭৫০ শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে আড়াই হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয়। প্রাক্তন ছাত্রীরা যদি হলের মেয়েদের সামান্য সহযোগিতাও করেন, তাহলে আমাদের ওপর চাপ কমবে। শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হবে। 

শিক্ষা উপমন্ত্রীর উদ্দেশে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি বলেন, দেশে কারিগরি শিক্ষার দরকার। প্রতি বছর মাত্র আড়াই হাজার লোক বিসিএস ক্যাডার হয় আর ২৩ হাজার হয় নন-ক্যাডার। অন্যান্য ক্ষেত্রেও চাকরির বাজার সীমিত। দেশে অনেক শিক্ষিত বেকার রয়েছে। অথচ দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশ থেকে লোক আনতে হয়। তাদের বেতন-ভাতা হিসেবে ৬ বিলিয়ন ডলার অর্থ বিদেশে চলে যায়। প্রবাসীরা প্রতি বছর ১৪ বিলিয়ন অর্থ দেশে পাঠান। এর মধ্যে ৬ বিলিয়নই আবার বিদেশে চলে যায়। দেশে দক্ষ জনগোষ্ঠী থাকলে এমনটা হতো না। এজন্য তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীকে কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভাবতে অনুরোধ করেন।

অধ্যাপক সুপ্রিয়া সাহা বলেন, শামসুন নাহার হলের প্রাক্তন ছাত্রীরা সমাজের বিশিষ্ট জায়গায় রয়েছেন। বেগম রোকেয়ার আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে শামসুন নাহার যে অবদান রেখে গেছেন, তার সুফল আজ আমরা ভোগ করছি। তার দেখানো পথে চলে যেন আমরা এগিয়ে যেতে পারি, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। শামসুন নাহার হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এই হলের সম্পদ। আপনারা যত এগিয়ে যাবেন, এই হল ততই এগিয়ে যাবে।

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। পরে জাতীয় পতাকা ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পতাকা উত্তোলন, পায়রা অবমুক্তকরণ, বেলুন উড্ডয়ন ও প্রদীপ প্রজ্বালন হয়। এরপর ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ এবং অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানের পর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হয়। পরে দিনব্যাপী উৎসবে মেতে ওঠেন শামসুন নাহার হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে সহযোগিতায় ছিল হা-মীম গ্রুপ, এভিন্স রিটেইল, আইএফআইসি ব্যাংক, সাউথ-ইস্ট ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

সূত্র: সমকাল

আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি - dainik shiksha আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে - dainik shiksha সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড - dainik shiksha মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0063920021057129