ব্যাংক কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিতে প্রতিমাসেই বেতন উত্তোলন নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় ময়মনসিংহের নালিতাবাড়ীর শিক্ষকদের। নিয়ম মাফিক প্রতিমাসের ১০ তারিখে বেতন দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিলেও বেতন তুলতে হয় ১৫ থেকে ১৬ তারিখে। অনেক সময় আরও বেশি সময়ও লেগে যায়। এর ফলে উপজেলার সব উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ি বেসরকারী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম খোকন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, উপজলার এমপিওভুক্ত প্রায় একহাজার শিক্ষক ও কর্মচারী সঠিক সময়ে বেতন উত্তোলন করতে পারেন না। ফলে তাদের অনেক কষ্টে দিনযাপন করতে হয়। ভোগান্তির জন্য তিনি দায়ী করেছেন উপজেলার যে ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন দেয়া হয়, সে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের। পার্শ্ববর্তী উপজেলায় অনেক আগেই নির্ধারিত সময়েই বিল উত্তোলন করতে পারেন। কিন্তু এ উপজেলার ব্যাংক কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির জন্যই প্রতিমাসেই শিক্ষক-কর্মচারীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সমস্যার সমাধান না হলে তারা অচিরেই প্রতিবাদ কর্মসূচি হাতে নেবেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এপ্রিল মাসের বেতন গত ২৪ এপ্রিল তারিখে ছাড় হয়েছে। ১০ মে তারিখে শিক্ষকগণের বেতন উত্তোলনের শেষ তারিখ ছিলো। কিন্তু মাসের প্রায় অর্ধেক সময় চলে গেলেও এখন পর্যন্ত বেতনের টাকা ব্যাংকে পৌছেনি।
উপজেলার রামচন্দ্রকূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল জলিল বিএসসি ও শরীরচর্চা শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে ২০ দিনেও এমপিওকপি নালিতাবাড়ীর অগ্রনী ব্যাংকে পৌঁছেনি, এ কেমন কথা! এ ভোগান্তি প্রতিমাসেই ভুগতে হয়। অনেক শিক্ষক নিরুপায় হয়ে চড়াসুদে চেক বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছেন। সুদখোর মহাজনরা শিক্ষকদের এ অসহায়তার সুযোগ লাগাচ্ছে।
বেতন নিয়ে এমন বিলম্ব কেন হচ্ছে জানতে চাইলে নালিতাবাড়ি উপজেলার অগ্রনী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক তার কিছুই করার নেই বলে জানান। তিনি বলেন, এমপিওর ক্যাশ জমা হলেও এমপিওর কপি হাতে পৌঁছতে দেরি হয়, আবার কখনো এমপিওর কপি যথা সময়ে পৌছঁলে ক্যাশ জমা হয় না। এসব কারণে বেতন দিতে দেরি হয়