নিজেদের ধার্মিক মনে করেন না এমন লোকের সংখ্যা বাড়ছে - দৈনিকশিক্ষা

বিবিসি জরিপনিজেদের ধার্মিক মনে করেন না এমন লোকের সংখ্যা বাড়ছে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

মধ্য প্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার ২৫ হাজার লোকের ওপর চালানো এক জরিপে বলা হচ্ছে, সেখানে এমন লোকের সংখ্যা বাড়ছে - যারা নিজেদের ধার্মিক বলে মনে করেন না।

বিবিসি নিউজ আরবী এবং আরব ব্যারোমিটার রিসার্চ নেটওয়ার্ক যৌথভাবে এই জরিপ চালায়।

এটিকে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় এ ধরণের সবচেয়ে ব্যাপক অনুসন্ধানী জরিপ বলে দাবি করা হচ্ছে।

ধর্ম, রাজনীতি, যৌনতা থেকে শুরু করে নারী অধিকার এবং অভিবাসন—এধরণের বহু বিষয়ে এই জরিপে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল।

গত বছরের শেষ এবং এ বছরের শুরুতে দশটি দেশ এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলের মানুষ এই জরিপে অংশ নেয়।

এই জরিপে যা জানা গেছে:

.
নিজেদের ধার্মিক বলে ভাবেন না এমন মানুষের সংখ্যা ২০১৩ সালে যেখানে ছিল ৮%, সেখানে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩%। তিরিশ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেই এদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এদের মধ্যে ১৮ শতাংশই নিজেদের ধার্মিক বলে ভাবে না। কেবলমাত্র ইয়েমেনের এরকম মনোভাবের মানুষের সংখ্যা কমেছে।

.
একজন নারীরও যে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অধিকার আছে, পুরো অঞ্চলজুড়েই বেশিরভাগ মানুষ তা সমর্থন করে। আলজেরিয়ার একমাত্র ব্যতিক্রম। সেখানে ৫০ শতাংশেরও কম মানুষ বলেছে, একজন নারী রাষ্ট্রপ্রধান হলে সেটি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

তবে যখন পারিবারিক জীবনের প্রসঙ্গ আসে- তখন বেশিরভাগ মানুষ, এমনকি বেশিরভাগ নারীও মনে করে পারিবারিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার চূড়ান্ত অধিকার স্বামীর। কেবল মরোক্কো এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। সেখানে স্বামীরই যে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ- এই মত সমর্থন করেছেন অর্ধেকের কম মানুষ।

সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা পুরো অঞ্চল জুড়েই কম বা একেবারেই কম। যদিও দেশভেদে কিছুটা পার্থক্য আছে। লেবাননকে বিবেচনা করা হয় পুরো মধ্যপ্রাচ্য এবং আরব বিশ্বে সবচেয়ে উদারপন্থী দেশ হিসেবে। সেখানেও সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা ৬ শতাংশ।

'অনার কিলিং' বা পারিবারিক সন্মান রক্ষার হত্যা বলে যাকে বর্ণনা করা হয়, তাতে সাধারণত পরিবারের সদস্যরাই পরিবারের কাউকে হত্যা করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরাই এধরণের হত্যার শিকার হন।

জরিপে অংশ নেয়া প্রতিটি অঞ্চলেই অন্যান্য নেতাদের চেয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতি ছিল সবার নীচে। এর বিপরীতে আবার ১১টি দেশ এবং অঞ্চলের সাতটিতেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের নীতি প্রশংসিত হয়েছে।

তবে লেবানন, লিবিয়া এবং মিশরে এরদোয়ানের চেয়েও বেশি সমর্থন পেয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নীতি।


মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় নিরাপত্তা নিয়ে এখনো উদ্বেগ আছে। যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ইসরায়েলের পর কোন দেশগুলি তাদের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি, তখন দ্বিতীয় বৃহত্তম হুমকি হিসেবে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। তৃতীয় স্থানে ছিল ইরান।


যত দেশে এই জরিপ চালানো হয়, প্রত্যেক জায়গাতেই প্রতি পাঁচজনে একজন বলেছেন, তারা দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও অভিবাসী হওয়ার কথা ভাবছেন। সুদানে জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই অভিবাসী হতে চেয়েছেন।

উত্তর আমেরিকায় যেতে চান এমন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের তুলনায় ইউরোপে যেতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা কমেছে। তারপরও যারা অভিবাসী হতে চান, তাদের বেশিরভাগের পছন্দ এখনো ইউরোপ।

 

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035490989685059