প্রাথমিকেও পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন: শেষ করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে - দৈনিকশিক্ষা

প্রাথমিকেও পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন: শেষ করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। শিক্ষার্থীদের নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাই মূল্যায়ন করবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।

 

আজ থেকে মূল্যায়ন শুরু। শেষ করতে হবে ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে। 

সোমবার (২৩ নভেম্বর) অধিদপ্তর থেকে সব বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

অধিদপ্তর বলছে,  করোনা ভাইরাস মহামারির আগে ১৬ মার্চ পর্যন্ত স্কুলের স্বাভাবিক পাঠদান চলমান ছিল। পরবর্তী সময়ে করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সংসদ টিভি, বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও, মোবাইল ফোন  ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান পরিচালনা করা হয়। এ কার্যক্রমে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত ছিলেন। 

এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। 

এতে পরীক্ষা ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে পরের ক্লাসে তোলা হবে। এবার যার যে রোল নম্বর আছে, সেই রোল নম্বর নিয়েই পরের শ্রেণিতে উঠেবে তারা। তবে চলতি বছরের প্রথম আড়াই মাসের ক্লাস এবং কোভিড-১৯ এর সময় যেসব শিক্ষা কার্যাক্রম চালানো হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম সোমবার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ১৬ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস হয়েছে। সেই সময় তাদের ক্লাস টেস্ট নেওয়া হয়েছে, শিক্ষকরা পড়িয়েছেন, এখন সেসব মূল্যায়নে আনা হবে।

করোনাভাইরাস মহামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির মধ্যে সংসদ টেলিভিশন, বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং জুম প্ল্যাটফর্মে যেসব শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়েছে, সেগুলোও মূল্যায়ন করা হবে।

এছাড়া ছুটির মধ্যেও অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়া দিয়ে পড়া আদায় করেছেন জানিয়ে মনসুরুল আলম বলেন, সেসবও তারা মূল্যায়নে আনবেন।

এর বাইরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, যার তথ্য-উপাত্ত শিক্ষকদের কাছে রয়েছে, সেসবও মূল্যায়নে আনা হবে। এসব বিষয় মূল্যায়ন করা হলেও তা পরের শ্রেণিতে ওঠার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, “এবার আনুষ্ঠানিক কোনো পরীক্ষা হচ্ছে এটা মাথায় রেখেই মূল্যায়ন করা হবে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আগের (এবারের) রোল নম্বরই ফলো করবেন, সবাই পরের ক্লাসে প্রমোশন পাবে।”

মহামারী পরিস্থিতির ততটা উন্নতি না হওয়ায় এবার পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা নিচ্ছে না সরকার।

উচ্চ মাধ্যমিকেও এবার চূড়ান্ত কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নেওয়া যায়নি; এইচএসসি ও সমমানের ফল ঘোষণা করা হবে শিক্ষার্থীদের অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে।

পরীক্ষা নেওয়া না গেলেও শিক্ষার্থীদের কোথায় দুর্বলতা তা বোঝার জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বয়স বিবেচনা করে মাধ্যমিকের মত অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান মনসুরুল আলম।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035698413848877