জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে আইএইচটি মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) নির্মাণ কাজে ব্যাচের গোড়া ও মেঝেতে বালুর পরির্বতে মাটি, নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ম্যানেজারের দাবি বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে, বালু সরবরাহকারী বলছেন ঠিকাদারের ম্যানেজার মাটিই চেয়েছেন।
জানা গেছে, জয়পুরহাট স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে নির্মাণাধীন আইএইচটি মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ক্ষেতলাল পৌর এলাকার বটতলী বাজার সংলগ্ন ২ দশমিক ৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে নির্মাণ শুরু করেন। ওই ম্যাটস নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান মেসার্স এমএস এন্টারপ্রাইজ নামের ময়মনসিংহের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। স্বত্বাধিকারী খন্দকার মাহবুব। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি ৫৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা। গত বছরের ৭ জুন এ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই নির্মাণাধীন ম্যাটসের ব্যাচ ঢালাইয়ের গোড়া থেকে সাড়ে ৮ ফুট উচ্চ মেঝে ভরাট করার জন্য বালুর পরির্বতে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বালুর মূল্য নিয়ে কম মূল্যে মাটি দিয়ে ভরাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার মেঝে সাটারিং ও আরসিসি ঢালাইয়ের পরির্বতে মাটি দিয়ে ভরাট করে ইটের সলিং বিছিয়ে নিম্নমানের বালু ও ইটের খোয়া দিয়ে ছয় ইঞ্চির পরির্বতে তিন ইঞ্চি ঢালাই করছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটককে জানায়, স্থানীয় কয়েকজন দলীয় লোকজনকে এই প্রজেক্টে বালু, ইট, কাঠ সরবরাহের দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা এই প্রজেক্টের নির্মাণ কাজের শুরু থেকে সেগুলো সরবরাহ করছেন। এ কাজ তদারকি করছেন জয়পুরহাট জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ও আমি নিজে, আমার আরও দুই সহযোগী রয়েছে।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
মাটি সরবরাহকারী আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা, ইমাম হোসাইন ও এসএম আব্দুল্লাহ্সহ একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান আমাদের কাছ থেকে বালু নয়, মাটি চেয়েছেন তাই আমরা মাটি দিয়ে মেঝে ভরাট করেছি।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
নির্মানাধীন ম্যাটস এ মাটি নাকি বালু ব্যবহারের নিদের্শনা রয়েছে এ বিষয়ে জানতে জয়পুরহাট জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাহিনুর ইসলাম এর সঙ্গে কথা হলে প্রশ্নটি এড়িয়ে যান। ব্যস্ততা দেখিয়ে জয়পুরহাট অফিসে সংবাদদাতাকে দেখা করার প্রলোভন দেখান।