জালিয়াতির অভিযোগে পাবনার সাথিয়া উপজেলার দেবীপুর তেবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ২ শিক্ষকের নিয়োগের কাগজপত্র চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ দুই শিক্ষক হলেন, বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. তাজুল ইসলাম এবং হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মো. হাসান মনছুর। জাল জালিয়াতির মাধ্যমে এ দুই শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে শিক্ষা অধিদপ্তরে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে দ্বিতীয়বারের মত এ দুই শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠাতে বলেছে শিক্ষা অধিদপ্তর। একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়,জালিয়াতি করে পাবনার সাথিয়া উপজেলার দেবীপুর তেবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ২ শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে পৃথক অভিযোগ এসেছে অধিদপ্তরে। এ প্রেক্ষিতে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ২ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে এ দুই শিক্ষকের নিয়োগের কাগজপত্র পাঠাতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছর অতিবাহিত হলেও তা পাঠাননি প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ।
সুত্র আরও জানায়, দুই বছরেও এ দুই শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজ না পাঠানোয় আবারো তা পাঠাতে বলা হয়েছে অধ্যক্ষকে। ৩ কর্মদিবসের মধ্যে শিক্ষকদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ডিজি প্রতিনিধি মনোনয়নের পত্র, নিয়োগ পরীক্ষার মূল্যায়ন পত্র, নিয়োগ অনুমোদনের রেজুলেশন, নিয়োগ পত্র, যোগদান পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ এবং এমপিও আবেদনের কপি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে অধ্যক্ষকে।