নিয়োগ বোর্ডে প্রথম হওয়ার চার মাসেও নিয়োগপত্র পাননি চাকরিপ্রার্থী - দৈনিকশিক্ষা

নিয়োগ বোর্ডে প্রথম হওয়ার চার মাসেও নিয়োগপত্র পাননি চাকরিপ্রার্থী

দৈনিক শিক্ষাডটকম, নওগাঁ |

স্কুলের কর্মচারী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর চার মাস পার হলেও নিয়োগপত্র না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলার আকবরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারোয়ার জাহানের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আশায় বুক বাঁধলেও সেই আশা পূরণ হয়নি চাকরিপ্রার্থী মো. সিফাতুল্লাহ। এ ঘটনায় বারবার অভিযোগ করেও নিয়োগপত্র পাননি তিনি।

জানা যায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি পত্রিকায় আকবরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, নিরাপত্তাকর্মী, নৈশপ্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, আয়া ও অফিস সহায়কসহ মোট ৬টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন সিফাতুল্লাহ নামের ওই চাকরিপ্রার্থী। 

গত ২৬ এপ্রিল ওই বিদ্যালয়ের নিয়োগবোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। সেই নিয়োগ বোর্ডে ডিসির প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ কুমার বসু ও ডিজির প্রতিনিধি সাপাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদের নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষায় তাকে প্রথম ঘোষণা করেন। বাকি ৫ জনকে নিয়োগ দিলেও এ পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থী সিফাতুল্লাহকে নিয়োগপত্র দেননি।

চাকরি প্রার্থী মো. সিফাতুল্লাহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নিয়োগবিধি অনুসারে নিয়োগ বোর্ডে নিয়োগ প্রার্থী হিসাবে যদি কারো স্বজন বা নিকট আত্মীয় থাকে তাহলে সে ওই নিয়োগ বোর্ডের কোনো পদে থাকতে পারবেন না বলা হলেও এসবকে তোয়াক্কা না করে সেই নিয়োগ বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে তৎকালীন সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন। পরীক্ষায় দ্বিতীয় হওয়ার পরও সভাপতির নাতি মো. শহিদুজ্জামানকে অফিস সহকারী কাম হিসাবে সহকারী পদে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা চালান এবং তার আপন ভাতিজা সোহাগ রানাকে নৈশপ্রহরী ও তার ভায়রার নাতি সোলাইমানকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ দেন।

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সারোয়ার হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। আমরা চাইলেও ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারিনা। তাদের মতের বাহিরে গেলেই আমাদের ওপর নেমে আসে বিভিন্ন নির্যাতন। তাই ইচ্ছে থাকলেও আমাদের হাত-পা বাঁধা সেখানে। এখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মহোদয় যেটা সিদ্ধান্ত দেবেন সে অনুযায়ী কাজ করবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পপি খাতুনের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও সেটা বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি - dainik shiksha আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ - dainik shiksha শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার - dainik shiksha মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ - dainik shiksha শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন - dainik shiksha অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040879249572754