নৈতিক শিক্ষায় জোর দিতে হবে - দৈনিকশিক্ষা

নৈতিক শিক্ষায় জোর দিতে হবে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ছেলেবেলা থেকে আমাদের যে নৈতিকতাবোধ গড়ে উঠা দরকার সেটি সেভাবে গড়ে উঠছে না। আমাদের পাঠ্যপুস্তক, আশপাশের বড় ভাই কিংবা মা-বাবার কাছ থেকে প্রত্যাশিত নৈতিকতার শিক্ষা পাওয়ার অভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে একটি হ-য-ব-র-ল অবস্থা। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, আজকালকার অধিকাংশ মা-বাবা কাজকর্মে অনেক ব্যস্ত থাকেন। নিজেদের চাকরির পাশাপাশি তাঁদের ছেলে-মেয়েদেরও মানুষ করতে হয়। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের একটি যথাযথ নিয়মে না রাখতে পারি তাহলে ভবিষ্যতেও নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকবে।

আমরা যদি আমাদের সন্তানদের ছোটবেলা থেকে নৈতিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে বড় হয়ে আমাদের সন্তানরা সেই নৈতিক শিক্ষার প্রয়োগ করতে পারে। তারা নিশ্চয়ই সেই শিক্ষায় প্রভাবিত হতে পারে। কিন্তু ব্যস্ততা ও উদাসীনতার জন্য আমরা অনেকেই শিশুদের সেই নৈতিক শিক্ষা দিতে পারছি না। আমরা যদি ছেলেমেয়েদের বিশেষ করে ছেলেদের নৈতিকতার শিক্ষা না দিতে পারি, তাহলে এটি (নারীর প্রতি সহিংসতা-ধর্ষণ) বাড়তে থাকবে।

আমাদের সামাজিক অনুশাসন আছে, ধর্মীয় অনুশাসন আছে। কিন্তু আমরা যেভাবে আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলছি তাতে তাদের মনের ভেতরে এর (ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন) কোনো ছায়া ফেলছে না। তারা সেভাবে চরিত্র গঠন করতে পারছে না। যার ফলে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। তা ছাড়া, নারীর প্রতি সহিংসতার পেছনে আধুনিক প্রযুক্তি যথেষ্ট পরিমাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এই প্রযুক্তির লাগাম যদি আমরা টেনে ধরতে না পারি, এর সঠিক ব্যবহার যদি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনা কমবে না বরং বাড়তেই থাকবে। সে জন্য শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে ছেলেমেয়েদের মানসিক গঠনসহ সবখানেই আমাদের নজর দেওয়া উচিত।

সাধারণত চাকরিতে যোগদান করতে গেলে সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট দরকার হলেও স্কুল-কলেজগুলোতে সেটির ব্যবস্থা নেই। ছেলেমেয়েদের সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট অবশ্যই করা দরকার বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি আমাদের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করা দরকার। ইংল্যান্ডে আমি দেখেছি, এ ধরনের ঘটনায় মামলার নিষ্পত্তি করতে তিন মাসও সময় লাগে না। বিচারব্যবস্থা অত্যন্ত গতিশীল করা দরকার। পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং সহিংসতা বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক : ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক, অধ্যাপক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।

শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে - dainik shiksha সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড - dainik shiksha মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050191879272461