দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: বাংলাদেশ নব জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে পাঁচ হাজার একজন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মরত পদবঞ্চিত প্রধানশিক্ষকের গেজেটভুক্ত ও তাদের স্থলে চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক না প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
এক যুক্ত বিবৃতি সমিতির নেতারা জানান, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়।
জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের পূর্বে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা কমিটি ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক সুপারিশকৃত। কিন্তু স্কুল জাতীয়করণের পর শিক্ষক জাতীয়করণ করা হয়। তবে নাম প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত না করে সহকারী শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়। সরকারি শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত হওয়ায় তারা প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করার জন্য মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষাসহ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেটের জন্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্ট প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ প্রদান করে।এদিকে মামলার রায়ের আলোকে পদবঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেট করার জন্য আবেদন করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। বরং আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হচ্ছে না। এখনো অনেক মামলা হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনালে চলমান আছে। জাতীয়করণের সময় জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে ক খ গ ঘ চকে ও এক নং প্রধান শিক্ষক পদে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় অধিগ্রহণ আইন ১৯৭৪ বিধিমালায় বলা আছে, প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি তখনই করা যেতে পারে, যদি ব্যক্তির প্রয়োজনীয়তা যোগ্যতা থাকে। শিক্ষকেরা সবাই যোগ্যতা সম্পন্ন।
এ ছাড়া জাতীয়করণের পরে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৪ মে ২০১৩ তারিখের সংশোধনী গেজেট ঘ প্রকাশ করে। যেখানে উল্লেখ আছে- জাতীয়করণকৃত প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের জন্য একজন প্রধান শিক্ষকের চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হবে। ১ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যারা প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তাদের প্রত্যেকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত হবেন। বিধিমোতাবেক জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেজেট বাস্তবায়ন ও বর্তমান কর্মরত জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয় পদবঞ্চিত শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্তিসহ চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক না দেয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।বিবৃতি প্রদানকারী নেতারা হলেন-কামাল উদ্দিন সভাপতি, হুমায়ুন কবির সাধারণ সম্পাদক, হেমায়েত হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন খাগড়াছড়ি, চট্রগ্রাম, হাফিজুর রহমান, মিন্নাত আলী ময়মনসিংহ রাকিবুল ইসলাম রাজশাহী, রেজাউল করিম খুলনা, আনিসুর রহমান রংপুর, মাইন উদ্দিন বরিশাল, সিদ্দিকুর রহমান ও আব্দুল মালেক রাজশাহী, মোক্তাদির হোসেন, ঢাকা উত্তর অঞ্চল, নান্নু মিয়া ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চল, আ. মতিন, ইসমাইল হোসেন রাজশাহী, শাহেনুর আলম ঢাকা উত্তর অঞ্চল, জালাল উদ্দীন ঢাকা উত্তর অঞ্চল, গোলাম রাব্বানী রাজশাহী, জয়নাল আবেদীন খুলনা, রাশেদুল ইসলাম রংপুর, নার্গিস আক্তার রাজশাহী,আন্জুমানারা বেগম কিশোরগঞ্জ, মনির হোসেন ঢাকা, মনির হোসেন নারায়ণগঞ্জ, সাহিদা আক্তার ঢাকা, সাইফুল ইসলাম, ঢাকা, কেরানীগঞ্জ।