পরিচালনা কমিটির ‘অবাধ ক্ষমতা’ খর্ব হচ্ছে - দৈনিকশিক্ষা

পরিচালনা কমিটির ‘অবাধ ক্ষমতা’ খর্ব হচ্ছে

দৈনিক শিক্ষা ডেস্ক |

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর) পরিচালনা কমিটির বিদ্যমান ‘অবাধ ক্ষমতা’ খর্ব করা হচ্ছে। ইচ্ছে করলেই ঠুনকো অজুহাতে অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ কোনো শিক্ষককে শাস্তি দেয়া যাবে না। কাউকে ৬০ দিনের বেশি সাময়িক বরখাস্ত করে রাখলে পুরো বেতন-ভাতা দিতে হবে। আর অস্থায়ী কমিটিতে কোনো ব্যক্তি একবারের বেশি থাকতে পারবেন না। 

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভনিং বডি (কলেজ হলে) ও ম্যানেজিং কমিটি (স্কুল হলে) প্রবিধানমালা সংশোধন করে এসব বিষয় যুক্ত করা হচ্ছে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত খসড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে। তবে পরিচালনা কমিটির সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া নিয়ে আলোচনা থাকলেও প্রস্তাবিত খসড়ায় তা রাখা হয়নি। বর্তমানে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে দেশে  ৩০ হাজারের বেশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম অথবা কাঙিক্ষত ফল না করলে পরিচালনা কমিটিকে শিক্ষা বোর্ডের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরপর তিন  বছর এমন হলে এমপিও (বেতন বাবদ মাসিক সরকারি অনুদান) বাতিল বা প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি বালিত করা হবে। একই সঙ্গে পরিচালনা কমিটি বাতিল করতে পারবে শিক্ষা বোর্ড।

 আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় উপকমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, বর্তমান প্রবিধানমালা ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে করা । সেটি চর্চা করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন সমস্যা হচেছ। আবার আদালতের কিছু নির্দেশান রয়েছে। এ জন্য নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করে সেটি পরিবর্তনের প্রস্তাব করা  হয়েছে।


ইচ্ছে করলেই শিক্ষককে শাস্তি নয়


কোনো শিক্ষক পছন্দ না হলে তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে সাময়িক বরখাস্তের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে এক পরিচালনা কমিটি থেকে আরেক কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ এবং সরকার পরিবর্তনের সময় এটি বেশি হয়। গতকাল বুধবার রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমের এক শিক্ষক বলেন, কোনো দোষ না করার পরও তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। 

প্রস্তাবিত প্রবিধানমালায় শিক্ষকদের কী কী কারণে এবং কী ধরণের  শস্তি দেওয়া যাবে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দোয়ী সাব্যস্ত হলেই কেবল শাস্তি দেওয়া যাবে। কোনো শিক্ষক অদক্ষতা, দুর্নীতি, কর্তব্যে অবহেলা, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো কাজ বা পেশাগত অসদাচরণের জন্য দোষী হলে শাস্তি দেওয়া যাবে। অপরাধের ধরন অনুযায়ী ৫ ধরণের শাস্তি দেওয়া যাবে। এগুলো হলো তিরস্কার, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বার্ষিক প্রবৃদ্ধি(ইনক্রিমেন্ট) স্থগিত, প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হলে দোষী শিক্ষকের বেতন থেকে আদায় এবং চাকরি থেকে অপসারণ ও বরখাস্ত করা । তবে বরখাস্ত বা অপসারণের প্রস্তাব শিক্ষা বোর্ডের আপিল ও সালিসি কমিটির মাধ্যমে পরীক্ষিত হতে হবে এবং বোর্ডর অনুমোদন লাগবে। 

অভিযুক্ত কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তকালে সাময়িক  বরখাস্ত করা গেলেও তা ৬০ দিনের বেশি সময়ের জন্য করা যাবে না। 


পারিশ্রমিক নিতে পারবেন না

প্রস্তাবিত প্রবিধানমালা অনুযায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি বা কোনো সদস্য কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারবেন না। বর্তমানে নানা অজুহাতে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।  তবে সভা চলাকালীন ‘হালকা খবারের ’ জন্য সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা খরচ করা যাবে।

পছন্দের লোক বসাতে কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লুকোচুরি করে পরিচালনা কমিটির নির্বাচন করার অভিযোগ রয়েছে। তাই এখন পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের বিষয়ে নোটিশ চাড়াও জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিয়ম যুক্ত  হচ্ছে।

অস্থায়ী কমিটি শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ করতে পারবে না। যদি কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন হলে শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি নিয়ে করতে পারবে। 

যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আমিরুল আলম খান বলেন, প্রস্তাবগুলো ভালো। কিন্তু দলীয়করণ না করে সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে উপকার হবে।

সূত্র: প্রথম আলো।  

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0085179805755615