রংপুরের পীরগঞ্জে কয়েকজন বহিরাগত যুবক পরীক্ষার কক্ষে ঢুকে একাদশ শ্রেণির সৌমিক হাসান হৃদয় নামের এক পরীক্ষার্থীকে বের করে নিয়ে গিয়ে বেদম মারপিট করেছে।
এতে মারাত্মক আহত ওই পরীক্ষার্থীকে পীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার চতরাহাটের একটি কলেজে ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার চতরা বিজ্ঞান ও কারিগরি কলেজে একাদশ শ্রেণির মার্কেটিং নীতি ও প্রয়োগ-১ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার কয়েক মিনিট পরই ২নং কক্ষে কয়েকজন বহিরাগত যুবক এসে সৌমিক হাসান হৃদয়কে ডেকে বের করে নেয়।
এরপর তাকে টেনে-হেঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলে পার্শ্ববর্তী নীল দরিয়ার বিলের ধারে নিয়ে গাছে বেঁধে নির্দয়ভাবে পেটায়। এরপর তাকে অনিকের বাসায় নিয়ে গিয়ে আবারও পেটানো হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের বি-১ বিছানায় অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর হৃদয় জানায়, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে আমার ভালো লাগে। কিন্তু কখনও তাকে বলিনি। ওই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ছাত্রীর জ্যাঠাতো ভাই, তার বন্ধু সাকলায়েন, রাকিবসহ ৭ জন আমাকে চতরার নীল দরিয়া নামকস্থানে একটি গাছের সঙ্গে মাফলার দিয়ে বেঁধে লাঠিপেটা করে।
এরপর অনিকের বাসায় নিয়ে গিয়ে একটি গুদাম ঘরে ছাত্রীর বাবা মোকলেছুল রহমান এবং ওই ছাত্রীর মা আমাকে মারপিট করে বলে জানায় হৃদয়।
হৃদয়ের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনার কারণে আমাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। কারণ ওরা অনেক প্রভাবশালী।
অনিক বলেন, এটা কোনো বিষয় নয়। একেবারেই সিম্পল বিষয়।
কলেজটির অধ্যক্ষ আবদুর রব প্রধান বলেন, অপরাধ করতেই পারে। তার মানে এই নয় যে, পরীক্ষার হল থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে মারপিট করতে হবে। এখন ওই ছাত্রের অভিভাবক আমাদের কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এতে অন্য শিক্ষার্থীদের মাঝেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ইউএনও টিএমএ মমিন বলেন, ঘটনাটি মোবাইলে শুনেছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পীরগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।