পরীক্ষায় যমজ বোনের অভিন্ন ফল, বিষয়ভিত্তিক নম্বরও এক | এইচএসসি/আলিম নিউজ

পরীক্ষায় যমজ বোনের অভিন্ন ফল, বিষয়ভিত্তিক নম্বরও এক

ছোটবেলা থেকেই তাদের কেউ দেখলে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পারতো না। ভারতের নয়ডার দুই যমজ বোন মানসী ও মান্য এখনো সবাইকে চমকে দেন, একেবারে একই রকম মুখ ও চেহারা নিয়ে। তবে আসল চমক অন্যখানে। কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি, পরীক্ষার ফলাফলে একই নম্বর পাবে তারা। এইচএসসির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। আর তাতেই অব

ছোটবেলা থেকেই তাদের কেউ দেখলে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পারতো না। ভারতের নয়ডার দুই যমজ বোন মানসী ও মান্য এখনো সবাইকে চমকে দেন, একেবারে একই রকম মুখ ও চেহারা নিয়ে। 

তবে আসল চমক অন্যখানে। কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি, পরীক্ষার ফলাফলে একই নম্বর পাবে তারা। এইচএসসির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। আর তাতেই অবাক দুই বোন।

মানসী ও মান্য দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর একই। দু’জনেই ৯৫.৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। অবাক লাগলেও, তাদের নম্বরপত্রে সেটাই উল্লেখ আছে। ভারতের গ্রেটার নয়ডার অ্যাস্টর পাবলিক স্কুলের ছাত্রী মানসী ও মান্য যে শুধু মোট শতকরা নম্বর একই পেয়েছে তা নয়। তারা একই নম্বর পেয়েছে প্রতিটি বিষয়েও। 

জানা গেছে, ইংরেজিতে ৯৮, কম্পিউটার সায়েন্সে ৯৮, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৫, রাসায়র এবং শারীরিক শিক্ষায় ৯৫ নম্বর করে পেয়েছে তারা। কারো এক নম্বর বেশি নয়, কারো কম নয়।

মানসী জানিয়েছেন, পরীক্ষা দু’জনেরই ভালো হয়েছিল, ভালো নম্বর আশাও করেছিলাম। কিন্তু বোন মান্য বেশি নম্বর পাবে ভেবেছিলাম।

মান্য জানিয়েছেন, এর আগে কখনো কোনো পরীক্ষায় এমন একই নম্বর পাইনি। তবে বছর দুয়েক আগে একবার খবরে দেখেছিলাম যমজ ভাই-বোনের এমন অভিন্ন নম্বর পাওয়ার কথা। তেমনটা যে আমার জীবনের বড় পরীক্ষাতেও ঘটে যাবে, তা ভাবতেও পারিনি।

মানসী ও মান্য দু’জনেই ভবিষ্যতে প্রকৌশলী হতে চায়। প্রস্তুতিও নিচ্ছিল তারা। কিন্তু করোনার কারণে পিছিয়ে গিয়ে, সেপ্টেম্বরে হতে পারে পরীক্ষা। সেদিকেই চোখ তাদের।

এই সাফল্যে খুশি তাদের পরিবারও। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, ২০০৩ সালের ৩ মার্চে দুই বোন যখন জন্মগ্রহণ করে, তখন ৯ মিনিটের ব্যবধান ছাড়া আর কোনো পার্থক্য ছিল না দুই বোনের মধ্যে। বরাবরই তাদের আকৃতি, গঠন থেকে শুরু করে প্রিয় খাবারের তালিকা, খেলা সবই এক। দুই বোনই ব্যাডমিন্টন খেলতে ভালোবাসে। পরীক্ষার ফলাফলে দুই বোনের একই নম্বরও চমকে দিয়েছে সকলকে।