করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়া ২০২০-র এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করতে আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। সংসদে পাস হওয়া তিনটি বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সই করার পর সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে তা গেজেট আকারে জারি করা হয়। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) গেজেট প্রকাশ করা হয়।
‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২১’ ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’, ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’ সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর গেজেট জারির করায় পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশে বাধা থকলো না।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য সংশোধিত তিন শিক্ষা বোর্ড আইনের গেজেট তুলে ধরা হল।
ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২১-এর গেজেট দেখতে ক্লিক করুন :
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১-এর গেজেট দেখতে ক্লিক করুন :
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১-এর গেজেট দেখতে ক্লিক করুন :
এর আগে রোববার সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিল তিনটি উত্থাপন করেন। পরে সেগুলো সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপরই সেগুলো আইনে পরিণত করতে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড গতকাল জানিয়েছিল, আইন তিনটির সংশোধন করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই ফল ঘোষণার তারিখ চুড়ান্ত হবে। সেই হিসেবে এখন ফলের অপেক্ষা।
আইনগুলো সংশোধন হওয়ায় এখন বিশেষ পরিস্থিতে অতিমারী, মহামারি, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশাবলি জারি করতে পারবে।
গত বছরে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল সে বছরের ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (লিংক যাবে) করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।