পর্যায়ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন - দৈনিকশিক্ষা

পর্যায়ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন

অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী |

করোনা দুর্যোগে বিশ্বে অন্য যে কোনো কিছুর তুলনায় শিক্ষাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ধকল আমাদের শিক্ষায় আরো বেশি। আমাদের শিক্ষা এখনো বহুলাংশে সেকেলে ধারায় পরিচালিত বলে এর ক্ষতির মাত্রা অন্যদের চেয়ে অধিক। বহুধারা ও বহুমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চলমান থাকার কারণে মহামারির সময়ে শিক্ষার ধ্বস মোটেও ঠেকিয়ে রাখা যায়নি। অভিন্ন ও একমুখি শিক্ষা চালু থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা হয়ত চালিয়ে নেয়া সম্ভব হতো। যুগোপযোগি শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরেকটু কম হতো। পরীক্ষা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চলমান থাকায় মহামারির সময়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে সময় মতো পরীক্ষা আয়োজন করতে না পারার কারণে শিক্ষা একদম থমকে দাঁড়িয়েছে। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবং পরীক্ষা না থাকায় শিক্ষার্থীরা বই পুস্তকের ধারে কাছে নেই। আগেভাগে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল হওয়ার খবর জেনে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই খাতা শিঁকেয় তুলে রেখেছে। নভেম্বর মাসের শেষে বা ডিসেম্বর মাসের শুরুতে এসে এ দুটি পরীক্ষা বাতিলের সংবাদ প্রচার করলে ততদিনে তারা কিছুটা অন্তত লেখাপড়া করতে পারতো।

২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষা এখনো পেন্ডিং আছে। কখন, কীভাবে এই পরীক্ষা হবে সে নিয়েও কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা আজ পর্যন্ত নেই। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রি-টেস্ট ও টেস্ট পরীক্ষার সময় এখন অতিক্রান্ত হচ্ছে। বিদ্যালয়ভিত্তিক মুল্যায়ন (SBA), ধারাবাহিক মুল্যায়ন (CA) কিংবা অনলাইন পরীক্ষা (শিক্ষার্থীদের বছর বছর বিনামুল্যে পাঠ্যপুস্তক ও উপবৃত্তি দেবার পরিবর্তে কম্পিউাটার, ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোন দেয়া যেতো) পদ্ধতি চালু থাকলে আজ পরীক্ষা নিয়ে এতো মাথা ব্যথা থাকতো না। ধারাবাহিক মুল্যায়ন কিংবা অনলাইন পরীক্ষার ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতো। পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দেয়া যেতো। পরীক্ষা বাদ দিয়ে অটোপাসের চিন্তা কারো মাথায় আসতো না। করোনা দূর্যোগকালীন সময়ে কিছু কিছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক পরীক্ষা ছাড়াই অটোপাসের সুবিধা পেতে অতি উৎসাহ প্রদর্শন করতে শুরু করেছেন।
 
পৃথিবীতে কয়টি দেশে পরীক্ষা কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে, সে আমার জানা নেই। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আজ পুরোপুরি পরীক্ষা নির্ভর। আজকাল  সন্তানের লেখাপড়া কিংবা জ্ঞানার্জনের চেয়ে পরীক্ষার ফলের প্রতি অনেক অভিভাবক বেশি উৎসুক থাকেন। কিছু শিখুক বা না শিখুক, সন্তান যেন একটি জিপিএ-৫ পায় সে বিষয়ে চেষ্টা তদবিরের অন্ত নেই। আমাদের দেশে পরীক্ষায় এক সময় নকলের ছড়াছড়ি ছিল। এখন তা নেই বললে চলে। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু হবার পর নকল বন্ধ হয়েছে বটে। কিন্তু  ফলাফলের ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম চালু হবার পর থেকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের পরিবর্তে ফল তথা জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য অসদুপায় অবলম্বনের প্রবণতা শুরু হয়। এটি আমাদের শিক্ষার একটি বড় কলংক। পরীক্ষা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা রহিত করা না গেলে এই কলংক দিনে দিনে যেমন বাড়বে, তেমনি করোনার মতো যে কোনো দূর্যোগে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে যেতে বাধ্য হবে।

আজ কিংবা কাল হোক করোনা একদিন নির্মুল হবেই। কিন্তু দুর্যোগ,দুর্বিপাক ও মহামারি মানব সভ্যতার জন্য আদিকালের ন্যায় বরাবর চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে। এই সত্যটি উপলব্ধি করে আমাদের এমন এক শিক্ষা পদ্ধতি চালু করতে হবে, যা করোনার মতো যে কোনো দীর্ঘ মেয়াদী দুর্যোগে সহজে চালিয়ে নেয়া যায়। ঘরে কিংবা বাড়িতে থেকে শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে লেখাপড়া চালিয়ে নিতে পারে। এবারের করোনা মহামারি সময়ের মত গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা যেনো থমকে দাঁড়িয়ে না যায়। করোনা আমাদের অনেক কিছু শিখেয়েছে। করোনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর পৃথিবী আমাদের মতো গড়ে তুলতে সকলকে নতুন করে সচেষ্ট হতে হবে।

করোনাকালে অনলাইন শিক্ষাদান কার্যক্রম বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তবে একথা সত্য যে, আমাদের দেশে একেবারে নগণ্য সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এই কার্যক্রমের আওতায় আসতে পেরেছেন। শতভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এর আওতায় নিয়ে আসতে পারলে পুরোপুরি ফল পাওয়া যেতো। অনলাইনে পাঠদান ও পরীক্ষা নেবার বিষয়ে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডিভাইস বিনামুল্যে সরবরাহ করতে হবে। আমাদের দেশে মোবাইল কোম্পানিগুলো নানা ভাবে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা কামাই করে থাকে। অন্তত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে তারা ফ্রি অনলাইন সুবিধা দিতেই পারে। তাদের সাথে সরকারের সে রকম চুক্তি সম্পাদন করা উচিত।

করোনার কারণে প্রায় ছয় মাস থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে বহু শিক্ষার্থী লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক কিশোর-কিশোরী শিক্ষার্থীর বাবা-মা তাদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। লেখাপড়া নাই দেখে কেউ কেউ বিদেশে গিয়েছে। পরিবারে অভাব অনটনের কারণে কেউ  দেশে রোজি রোজগারে লেগে গেছে। এভাবে অনেক শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকার কারণে লেখাপড়া থেকে ছিটকে পড়েছে। অনেকে বখাটেপনায় যোগ দিয়েছে। শিক্ষকের ধমক না থাকায় মাথায় ভয়ংকর স্টাইলে চুল রেখেছে। অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস দেখার নাম করে মোবাইল নিয়ে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ায়। গেম খেলে। কার্টুন দেখে। ফেসবুক চালায়। আস্তে আস্তে মোবাইলের খারাপ দিকগুলো আয়ত্ব করে ফেলে।

করোনা মহামারির শুরুতে প্রায় সবকিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ সময় লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, স্যানিটাইজার, গ্লাভস ইত্যাদি শব্দগুলো শিখে শিখে এদের সাথে বেশ পরিচিত হয়েছি। এখন গোটা পৃথিবীতে বলা যায় কোথাও লকডাউন নেই। সব কিছু খুলে দেয়া হয়েছে। মানুষ আবার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরে যেতে শুরু করেছে। শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা কিছুটা সম্ভব হলেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলা মানুষের জন্য কঠিন। কেননা, সৃষ্টির আদি থেকেই মানুষ সামাজিক জীব। তাই, মানুষ ঘরে থেকে নিরাপদ থাকার কৌশলটি আয়ত্ব করতে পারেনি। করোনা এখনো দাপিয়ে বেড়ালেও মানুষ শাশ্বত জীবন যাপনের উল্টো দিকে টিকে থাকতে অভ্যস্ত হতে পারেনি। তাই, করোনাকে সাথে করে হলেও মানুষ তার পূর্ব পুরুষের শিখিয়ে দেয়া জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে শুরু করেছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ অতি দ্রুত পূর্বের জীবন যাত্রায় ফিরে আসতে চায়।

করোনা একটি সংক্রামক মহামারি। আল্লাহর কৃপায় আমাদের দেশে এর সংক্রমণের হার খুব বেশি পরিলক্ষিত হয়নি। মৃত্যু হারের চেয়ে সুস্থ্য হয়ে ওঠার হার অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি। কোনো পরিবারে একজন করোনায় আক্রান্ত কিংবা মৃত্যুবরণ করলে অন্যদের আক্রান্ত কিংবা মৃত্যুর খবর তেমন চোখে পড়েনি। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বন্ধ কিংবা খোলার সময় ব্যাপক হারে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করা হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে সে রকম কিছু হয়নি। ঈদের ছুটিতে শহর ছেড়ে লোকজন আগের মতো ট্রেন ও লঞ্চ বোঝাই করে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছে। অনেকে বলেছেন-এই বুঝি সর্বনাশ হলো। শেষ অবধি সৃষ্টিকর্তার রহমতে তেমন কিছুই হয়নি। এখন তো আগের মতো অফিস আদালত চলছে। হাট বাজার খুলেছে। কোর্ট-কাচারি খোলা রয়েছে। শহরে-বন্দরে মানুষজন অবাধে চলাফেরা করছে। কল কারখানায় উৎপাদন চলছে। পার্ক-পর্যটন খুলে দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত হওয়া কিংবা মারা যাওয়ার হার আগের চেয়ে বাড়েনি। কোথাও আগের জায়গায় আছে। আবার কোথাও নীচে নেমেছে। অস্বীকার করার উপায় নেই, করোনা মানুষকে কিছুটা হলেও সচেতন করে তুলেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে মানুষ আগের তুলনায় আজ অনেক বেশি সচেতন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবার অনেকদিন হয়ে গেছে। এমনিতে পড়ালেখার বহু ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বহুদিন লাগবে। এখন কলেজে একাদশ শ্রেণির ভর্তি চলছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবক দল বেঁধে ভর্তির কাজে কলেজে যাতায়াত করছেন। সবখানেই এখন মানুষের ভীড়। হাটে বাজারে, রাস্তাঘাটে, শহরে বন্দরে-সব জায়গায় এখন আগের মতো মানুষ আর মানুষ। কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভীড়মুক্ত রাখতে আর কতোদিন বন্ধ রাখতে হবে? দেশের কওমি মাদরাসাগুলো প্রায় একমাস আগে খুলে গেছে। হাফিজিয়া মাদরাসা আরও আগে খুলে দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর বহু দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। অনেকে এ মাসে আবার কেউ কেউ আগামী মাসের শুরুর দিকে খুলে দেবার পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। ইতালি, ইংল্যান্ড প্রভৃতি করোনার হটস্পট দেশগুলোতে এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবার কথা শোনা যাচ্ছে। 

সময়ের প্রবাহে আমাদের দেশেও স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়া দরকার। কিছুদিন আগে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়, এরপর কলেজ, অতঃপর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সর্বশেষ পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেবার কথা শুনেছিলাম। এ রকম করে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আস্তে আস্তে খুলে দেয়া যেতে পারে। এই ফাঁকে এক সপ্তাহ সময়ের একটি রুটিন দিয়ে এইচএসসি'র মেজর সাবজেক্টগুলোর কেবল বহু নির্বাচনী কিংবা সৃজনশীল কিংবা উভয় রকম প্রশ্নের প্রতি বিষয়ে ৫০ নম্বরের একটি পরীক্ষার আয়োজন করা যেতে পারে। কেবল এবারের জন্য ব্যবহারিক পরীক্ষা পরিহার করা দরকার। সম্ভব হলে এক মাসের মধ্যে ফল দিতে পারলে ভালো হয়।
 
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবার ক্ষেত্রে সীমিত পরিসর ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে অবশ্যই গুরুত্বারোপ করতে হবে। প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন একটি শ্রেণি, দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতিদিন দুই শ্রেণি, তৃতীয় সপ্তাহে প্রতিদিন তিন শ্রেণি-এ রকম করে ধীরে ধীরে পুরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যেতে পারে। সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামুলক করা যায়। সিলেবাস কিছুটা কমিয়ে আনা দরকার। বিশেষ দিবস ছাড়া অপরাপর ছুটি রহিত করা যায়। কোনো কোনো দেশে সাপ্তাহিক ছুটি পর্যন্ত বাতিল করে শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে উঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের  শিক্ষাবর্ষ বাড়িয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চ পর্যন্ত করা যেতে পারে। পনের দিন কিংবা একমাস করে পিছিয়ে আগামী দুই কিংবা তিন শিক্ষাবর্ষে অতিরিক্ত সময়টুকু কাভার করা যেতে পারে। ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চে যখনই বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হউক না কেন, তাতে কেবল মেজর সাবজেক্টগুলোর পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তি শ্রেণিতে উন্নীত করে দেয়ার ব্যবস্থা করা যায়। আমাদের সময় নতুন বই বাজারে আসতে আসতে প্রায়ই মার্চ মাস গড়িয়ে যেত। মার্চের শেষের দিকে নতুন বছরের লেখা পড়া শুরুই হতো।

যে করে হউক করোনায় শিক্ষার সব ঘাটতি আমাদের পুষিয়ে উঠতে হবে। অটোপাস দিয়ে হবে না। তাতে শিক্ষায় আরও ঘাটতি দেখা দেবে। শিক্ষার ঘাটতি যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে সর্বদা এই ঘাটতি থেকেই যাবে। এই ঘাটতি থেকে গর্তের সৃষ্টি হবে। এই গর্ত আর কোনো দিন ভরাট হবেনা। এটি দেশ ও জাতির জন্য স্থায়ীভাবে অকল্যাণের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। করোনার অন্য সব ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠবার আগে শিক্ষার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সবচেয়ে বেশি অপরিহার্য। তাই সবকিছু যখন খুলে দেয়া হয়েছে, তখন কেবল করোনা সংক্রমণের অজুহাতে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি সম্প্রসারিত করা আর মনে হয় সমীচিন হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই।

লেখক : অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী, অধ্যক্ষ, চরিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কানাইঘাট, সিলেট।

সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ - dainik shiksha শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041019916534424