পর্যায়ক্রমে দেশের এক কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, আমাদের হাতে এখন ৬০ লাখ টিকা আছে। যা আমরা ৩০ লাখ ছেলে-মেয়েদের দিতে পারব। আপনারা জানেন, বাংলাদেশে প্রায় এক কোটির বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। আশা করছি, পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকার আওতায় আনতে পারব।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্কুলশিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে আসছে। তারা যাতে করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে এবং সুরক্ষিত থাকে এজন্য পরীক্ষামূলকভাবে আমরা স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগ শুরু করলাম। আজ আমরা আনন্দিত। মানিকগঞ্জের কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনার টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হলো।
মন্ত্রী বলেন, এ হাসপাতালে আজ ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে দেশের প্রায় ২১টি জায়গায় এই টিকা কর্মসূচি শুরু করবো। আমরা প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেবো। ফাইজারে টিকাটি খুবই ভালো মানের। ইউরোপের অনেক দেশেই এই টিকা দেওয়া হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান আজাদকে দিয়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। আজ পরীক্ষামূলকভাবে ১২০ শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। এরপর তাদের ১০-১৪ দিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
মানিকগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন লুৎফর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে জেলার চারটি স্কুল থেকে নবম ও দশম শ্রেণির ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলা শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ জন, সরকারি এস কে বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন, গড়পাড়া জাহিদ মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন এবং আটিগ্রাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে।