নাটোরের গুরুদাসপুরে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছাত্রীকে নিয়ে পালানোর একদিন পর ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ওই ছাত্রী এখন আর বাবার বাড়ি যেতে চায় না। তার দাবি, প্রধান শিক্ষক তাকে বিয়ে করেছেন। ছাত্রীকে উদ্ধার করা হলেও প্রধান শিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মামুদপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি মাইক্রোবাস ওই ছাত্রীকে মামুদপুর এলাকায় নামিয়ে দিয়ে দ্রুত চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে চিনতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ তার বিদ্যালয়ের ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে নিয়ে পালিয়ে যান।
ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, গত শনিবার সকালে ব্যবহারিক পরীক্ষার কথা বলে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ তার মেয়েকে স্কুলে ডেকে নেয়। দুপুর ২টার দিকে তার মেয়ে বাড়ি না আসায় খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জানতে পারেন প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ তার মেয়েকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে উঠে নাজিরপুর বাজারের দিকে চলে গেছেন। বাজারে গিয়ে জানতে পারেন তার মেয়েকে নিয়ে ওই প্রধান শিক্ষক রাজশাহীতে গেছেন। তিনি তার আত্মীয়দের নিয়ে রাজশাহী গিয়ে ভদ্রা এলাকার একটি বাসায় তাদের পান। তার মেয়েকে ফেরত চাইলে ওই শিক্ষক অস্বীকৃতি জানান। এরপর তারা থানায় যান। ওই সময় ওই প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি ওই শিক্ষকের বিচারের দাবি করেন। ওই ছাত্রীর মা থানায় মেয়ে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেছেন।
এদিকে অপহৃত ওই ছাত্রী দাবি করেন, স্যারের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। আমি বাবার বাড়িতে যাবো না। স্যারের কাছে যাবো।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল মতিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দ্রুত ওই শিক্ষককে আটক করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।