পুলিশের বাধার মুখে আলটিমেটাম দিয়ে শেষ হলো নাগরিক সমাজের পদযাত্রা | বিবিধ নিউজ

পুলিশের বাধার মুখে আলটিমেটাম দিয়ে শেষ হলো নাগরিক সমাজের পদযাত্রা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ও কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে নাগরিক সমাজের ব্যানারে মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করলেও পরিবাগের পর আর এগোতে পারেননি আন্দোলনকারীরা। এর আগে প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন, শাহবাগে কয়েকবার পুলিশের বাধায় পড়েন তারা।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ও কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে নাগরিক সমাজের ব্যানারে মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করলেও পরিবাগের পর আর এগোতে পারেননি আন্দোলনকারীরা। এর আগে প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন, শাহবাগে কয়েকবার পুলিশের বাধায় পড়েন তারা।

বুধবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশ শেষে বেলা ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অভিমুখে এই পদযাত্রা শুরু হয়।

সমাবেশে বক্তারা অনতিবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিল বের হয়। প্রায় ২৫০ নেতা-কর্মী দুপুর সাড়ে ১ টার দিকে মিছিল শুরু করেন। এ সময় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন, শাহবাগে পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করলেও পরে  মিছিল নিয়ে যাওয়ার জায়গা করে দেয় পুলিশ। বেলা দেড় টায় পরিবাগ মোড়ে মিছিলটি পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। পরে সেখানেই তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

পুলিশের বাধার মুখে আলটিমেটাম দিয়ে শেষ হলো নাগরিক সমাজের পদযাত্রা

এ সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী পুলিশকে অনুরোধ করেন মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যেতে না দিলেও যেন ২০ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দলকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যেতে দেয়া হয়। তবে তাতে সায় দেয়নি পুলিশ। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে পদযাত্রা শেষ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অতীতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ চরাও হলেও আজ ধৈর্যধারণ করেছে। আমরা আজ তাদের অনুরোধ রেখে ফিরে যাচ্ছি। তবে আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করা হয় তবে সেদিন কোন অনুরোধ রক্ষা করা হবে না। আমরা আশা করব সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করবে।

পদযাত্রায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড মহাসচিব কাউন্সিলের নঈম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা চৌধুরী, বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমগীতের সংগঠক বীথি ঘোষ, লেখক ও প্রাবন্ধিক অরূপ রায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিরাপত্তা আইনে কারাগারে থাকা রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল আলম ভূঁইয়া, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসানসহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক কর্মী প্রমুখ। 

উপস্থিত না থাকলেও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সংহতি প্রকাশ করেছেন।